তারকা হওয়ার আগে যা করতেন তারা


প্রকাশিত: ০৭:২৫ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

বলিউড তারকারা তাদের অভিনয় আর গ্ল্যামার দিয়ে অর্জন করেছেন খ্যাতি ও সুনাম। প্রতিষ্ঠিত অনেক তারকাই বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন। কিন্তু বিখ্যাত হওয়ার আগে তারা কি করতেন তা অজানা অনেকেরই। না জানা সেই তথ্য আপনাকে চমকে দিতে পারে।

তবে চলুন জেনে নিই বলিউডের কিছু তারকার সেলেব্রেটি হয়ে ওঠার আগের জীবন সম্পর্কে-

অক্ষয় কুমার
আজকের অন্যতম জনপ্রিয় এই অভিনেতা তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের পূর্বানী হোটেলের শেফ হিসেবে। তারপর অন্য স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন ব্যাংককে। লক্ষ্য ছিলো মার্শাল আর্ট শেখা। শিখলেনও। ফিরে এসেছিলেন ব্ল্যাকবেল্ট নিয়ে। ভারতে ফিরে শুরু করেন মার্শাল আর্টের স্কুল। সেখানেই এক ছাত্রের হাত ধরে আসেন মডেলিংয়ে আর তারপর পুরো দস্তুর অভিনেতা হয়ে উঠেন খিলাড়ি তারকা।

Bollywood

নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিক
বজরঙ্গি ভাইজান ও মাঝি ছবি দিয়ে সময়ের সেরা অভিনেতাদের একজন হয়ে ওঠেছেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিক। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের এক দরিদ্র কৃষকের ঘরে। আট ভাইবোনের সাথে শৈশবে বেড়ে ওঠেন জন্মস্থান উত্তর প্রদেশেই। তারপর চলে আসেন দিল্লী এবং কাজ শুরু করেন রসায়নবিদ হিসেবে। পরবর্তীতে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থাকায় ভর্তি হন ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই তারকার। কাহানি ও বাদলাপুর সিনেমা দিয়ে বলিউড বাজিমাত করেন তিনি। তারপর থেকে জয়যাত্রা চলছেই।

পরিণীতি চোপড়া
ইশকজাদে ছবি দিয়ে বলিঊডে পা রাখা পরিনীতিও পার্ট টাইম কাজ করতেন যশরাজ ফিল্ম স্টুডিওতে। জানা যায় মার্কেটিং ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করতেন পরিণীতি।

সিদ্ধার্থ মালহোত্রা
মাত্র ১৮ বছর বয়সেই শখের বসে মডেলিংয়ে নামেন সিদ্ধার্থ। সহজে পকেট মানি কামাতে নিয়মিত করতেন ফটোশুট ও হাঁটতেন র্যাম্পের স্টেজে। পরবর্তীতে করন জোহরের সহকারী হওয়ার অফার পেয়ে সেসবে জলাঞ্জলি দেন। এবং আজ তিনি বলিউডের উঠিতি তারকাদের অন্যতম একজন।

জন আব্রাহাম
অভিনয়ের শুরুটা হয় মডেলিংয়ের হাত ধরেই। তবে তিনি ছিলেন মূলত অনুষ্ঠান আয়োজক। মিডিয়া প্ল্যানার হিসেবেই কাজ করে অর্থ উপার্জন করতেন এই সুঠাম দেহের অভিনেতা।

Bollywood

আরএএইচ/এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।