ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২০

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনিয়ম-দুর্নীতি করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে অভিভাবক ফোরাম।

মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে অভিভাবক ফোরামের সভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদার ও আব্দুল মজিদ সুজন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, বিগত দিনে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ ও শাখাপ্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে। বড় ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে শাখাপ্রধান নিয়োগ হচ্ছে। ইতোমধ্যে কর্মরত শাখাপ্রধানরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবসহ ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, উচ্চ মাধ্যমিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তার কোনো পদ নেই। কিন্তু ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রে গোপনে নম্বর বাড়িয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক ফাতেমা জোহরা হক নম্বর বাড়িয়ে দেন। এছাড়া শাখাপ্রধান নিয়োগে সরকারি নিয়ম বিধিমালায় ১২ বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়ম ভেঙে ফাতেমা জোহরা হক, শাহরিমা ও শাহিনা চৌধুরীকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা ঘোষণা করে। যাতে অন্য কেউ আবেদন না করতে পারেন।

২০০৮ সালে জাতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক পুরস্কার পান শারমিন জাহান আহসান ও মাকরুজা খাতুন। পরীক্ষার উত্তরপত্রে টেম্পারিং করে নম্বর বাড়ানোয় তাৎক্ষণিক তাদের চাকরি চলে যায়। একইভাবে ফাতেমা জোহরা হক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা নিয়োগের খাতায় টেম্পারিং করেছেন। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সুষ্ঠু বিচার চান অভিভাকরা।

অভিভাবক ফোরামের অভিযোগ, গত ৯ নভেম্বর বোর্ড সভায় তড়িঘড়ি করে চারজন শাখাপ্রধানকে নিয়োগ দেন অধ্যক্ষ। এ অবস্থায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। অধ্যক্ষ দিনের পর দিন এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে কীভাবে তার পদে বহাল থাকেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

একই সঙ্গে রিট নং ২৮০/২২০ গোপন রেখে রিট নং ৩৩২৬/২০ এর আদেশকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উপস্থাপন করেছে। এবং সেটির সুযোগ নিয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষ বরাবর পাঠানো চিঠির আলোকে কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিভাবকরা এটির সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এমএইচএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।