বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বৈরথ শুরু


প্রকাশিত: ০৫:০৮ এএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৫

প্রাণ আপ সিরিজে প্রথম ওয়ানডের মধ্য দিয়েই আজ শুরু হচ্ছে  বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বৈরথ। মিরপুর শেরে বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এই খেলাটি হবে ডে নাইট। অবশ্য সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে ডে নাইট। ম্যাচ শুরুর আগের দিন নিয়মমাফিক সিরিজের ট্রফি উন্মোচন হল গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শুনিয়েছেন খেলা নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা।

জয় দিয়েই সিরিজ শুরু করতে চান টাইগার বাহিনীর অধিনায়ক মুর্তজা। আর  চিগুম্বুরাও আশাবাদী জয়ের ব্যাপারে। এখন মাঠের লড়াই-ই বলে দেবে কে কতোটা ফসল তুলতে পারলো ঘরে।

ট্রফি উন্মোচন উত্তর সংবাদ সম্মেলনে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কথা বলেন। যুক্তিও তুলে ধরেন সপক্ষে।  ‘মুস্তাফিজ বেশ ভাল ফর্মে আছে। তাছাড়া আলামিন, রাব্বি, নাসির, রিয়াদ এরকম ভাল ভাল বোলার আছে আমাদের। আমরা এখনও জানি না কম্বিনেশন কি, কিন্তু আমাদের অনেক অপশন আছে। প্রথম ম্যাচ একটা টুর্নামেন্ট অথবা সিরিজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারপর কাজটা ধীরে ধীরে সহজ হয়ে যায়। জিম্বাবুয়ে অনেক ব্যাল্যান্স টিম। যেহেতু ওরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে তাই তারা এখানে ভাল কিছু করতে চাইবে। সেইসাথে আমরাও আমাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইব। আমি মনে এটা ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। আর আমার কাছে জয়টাই আসল। কারণ খেলতে নেমে ভাল খেলে হেরে গেলেও হারটাই লেখা হয়।’

অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক চিগুম্বুরার কণ্ঠেও দৃঢ় প্রত্যয়- এবার অসহায় আত্মসমর্পণ নয়। লড়তেই এসেছে জিম্বাবুয়ে।

মাশরাফি-সাকিবদের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের সাফল্য নেই ২০১৩ সালের ৮ মে থেকে। গত বছর বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডেতে ৫-০ এবং টেস্টে ৩-০ তে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। যাকে বলে ধবল ধোলাই। জিম্বাবুয়ের তাই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। ফতুল্লায় বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে জয় তাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। পরিসংখ্যান বলছে ৬৪ বার মুখোমুখি হওয়া ওয়ানডে ম্যাচে ৩৬ বার জিতেছে বাংলাদেশ আর ২৮ বার জিম্বাবুয়ে।

ঘরেরে মাঠে খেলা, পরিসংখ্যানেও এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে তাই আরেকটি ধবল ধোলাইয়ের হাতছানি। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের প্রতিশোধ নেয়া বা ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়। বাংলাদেশে এমন এক সময়ে এই সিরিজ হচ্ছে যখন নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল বাংলাদেশে খেলতে আসেনি। তাছাড়া দুই জন বিদেশি নাগরিক এবং একজন প্রকাশক হত্যা ও লেখক হত্যা চেষ্টা, আশুলিয়ায় একজন পুলিশকে হত্যার ঘটনায় এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। তাই খেলায় নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

বাংলাদেশের দর্শকরা খেলা অন্তপ্রাণ। তারা অতিথি বৎসলও। এ অবস্থায় বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে সিরিজ অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। মনে রাখা প্রয়োজন, খেলায় জয় পরাজয় আছে। ফলাফল যাই হোক না কেন দর্শকদের মধ্যে একটি পেশাদারি মনোভাব থাকতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।