দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পাঠদান করতে হবে : রাষ্ট্রপতি


প্রকাশিত: ০৭:০৭ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৫

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সকলের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে কয়েক দশকের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রদের পাঠদান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

রাষ্ট্রপতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে এবং এই দেশের জনগণ সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক এবং অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আমাদের সকলের জন্য একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়তে আমাদের শিক্ষার্থীদের এই ঐতিহ্য শিক্ষা দিয়েছি।

আবদুল হামিদ বলেন, বিভিন্ন ধর্মের লোক এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করছে এবং তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্মচর্চা করছে। শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে, এখানে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার ছাত্রদের দেশের মূল্যবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

রাষ্ট্রপতি গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমরা এখন গ্রাজুয়েট। দেশের মূল্যবান মানবসম্পদ। তোমাদের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। তোমরা তোমাদের মেধা, জ্ঞান জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাবে।

রাষ্ট্রপতি উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা করতে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ হয়েছে এবং সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তিনি সরকারের এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে নতুন গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি স্যার ফজলে হাসান আবেদ এবং উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ সা’দ আন্দালিব বক্তব্য রাখেন। সমাবর্তনে মোট ৯৫৬ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।