পিইসি পরীক্ষা হচ্ছে না বিধায় বৃত্তি নয়, মিলবে শুধু উপবৃত্তি
করোনার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষা নেয়া হবে না। ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে। এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বৃত্তি দেয়া হবে না, তবে উপবৃত্তি দেয়া হবে। এ সংক্রান্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, করোনার মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। এ জন্য চলতি বছর সমাপনী-ইবতেদায়ী পরীক্ষা বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠাই। তাতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সেটি আমাদের হাতে এসেছে।
জাকির হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে সমাপনী-ইবতেদায়ী পরীক্ষা নেয়া না হলেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। তবে স্কুল খোলা সম্ভব হলে পঞ্চম শ্রেণি ছাড়া অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সমাপনী-ইবতেদায়ী পরীক্ষা বাতিলে গত ১৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। এ নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত হয়। এর ভিত্তিতে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।
সচিব বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিকের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিক (নেপ) পাঠক্রমের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে প্রস্তাব দিতে বলা হয়। তারা সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরে বিদ্যালয় খোলা হলে কতটুকু পড়ানো হবে সে বিষয়ে প্রস্তাব পাঠায়। যেহেতু সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না তাই মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সভা করে পরবর্তী দুই প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে সমাপনী-ইবতেদায়ী পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি প্রদান করা হবে না, তবে নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে উপবৃত্তি দেয়া হবে। আগামী বছর পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হলে আবারও বৃত্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে।
চলতি ১৭ নভেম্বর পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী-ইবতেদায়ী পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে সেই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এবার সারাদেশে প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।
এমএইচএম/এএইচ/পিআর