বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক


প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

সীমান্ত পথে চোরাচালান বন্ধ, অবৈধ অনুপ্রবেশরোধ ও বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সৌহার্দ-সম্প্রতি বজায়  রাখতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পে খুলনা-২৩ ব্যাটালিয়ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ৪০ ব্যাটালিয়ন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গত মঙ্গলবার ভোরে বেনাপোলের পুটখালি সীমান্তের ওপারে বর্ণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফ গুলি করে মনিরুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি রাখালকে হত্যার পর বুুধবার দুপুরে পুটখালি চরের মাঠ এলাকার বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে এ ঘটনার জন্য কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানো হয়। এরপর ওইদিন রাতে মনিরুলের মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ভারতের বিএসএফের পাঁচ সদস্যের নের্তৃত্ব দেন কোলকাতা কল্যাণী-৪০ ব্যাটলিয়নের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল কে এস শুকলা এবং বিজিবির পাঁচ সদস্যের নেতৃত্ব দেন খুলনা-২৩ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহিম।

বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার জালাল উদ্দিন জানান, বৈঠকে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীদের আটকের পর হত্যা না করে যেন পুলিশে দেয়া হয় সে বিষয়ে বিজিবি কর্মকর্তারা বিএসএফের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ টহল জোরদার, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, সীমান্তে গুলি বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি আরো জোরদার হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে অভিজ্ঞমহল জানান, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটলে বিজিবি ও বিএসএফের এ ধরনের পতাকা বৈঠক একাধিকবার হয়েছে। বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করলেও গুলি নির্যাতন বন্ধ হয়নি।

জামাল হোসেন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।