প্রাথমিকেই ঝরে পড়েছে ২২ ভাগ শিক্ষার্থী


প্রকাশিত: ০৪:৪৮ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

স্কুলে ভর্তির পর প্রাথমিক স্তরের লেখাপড়া শেষ করতে পারে না প্রায় ২২ ভাগ শিক্ষার্থী। শিক্ষা পদ্ধতির মৌলিক দুর্বলতা, শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধিসহ ছয়টি প্রধান কারণে এসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ইউনেস্কো প্রণীত সবার জন্য শিক্ষা (ইএফএ) জাতীয় পর্যালোচনা শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আগামীকাল রোববার এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য দেশের ইএফএ চিত্রও (বৈশ্বিক) প্রতিবেদনটিতে স্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, ২০০০ সালের ডাকার (সেনেগালের রাজধানী) ঘোষণায় সবার জন্য শিক্ষা (ইএফএ) নিশ্চিতে ৬টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ ইএফএ লক্ষ্য কতটুকু অর্জন করল তা পর্যবেক্ষণ করে পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন (জিএমআর) প্রায় প্রতিবছরই ইউনেস্কো প্রকাশ করে। বাংলাদেশের পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রতিবেদনও আমরা এবার প্রকাশ করব।

ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নীরবে প্রাথমিক স্কুল ত্যাগের এ চিত্র বৈশ্বিক পরিস্থিতির তুলনায় উদ্বেগজনক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২০ ভাগ শিক্ষার্থী প্রাথমিক স্কুলের শেষ শ্রেণীতে পৌঁছাতে পারে না। এক্ষেত্রে ৩২টি দেশের তথ্য যাচাই করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী স্কুলে গিয়েও প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে না পারার পেছনে বিশ্বব্যাপী ৯টি কারণ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- শিখন-শিখানো পদ্ধতির মৌলিক দুর্বলতা, শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য, ধনী-দরিদ্র বৈষম্য, বিলম্বে ভর্তি, দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিকূলতা, এলাকাভিত্তিক পরিকল্পনার অভাব, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, অংশগ্রহণ এবং শহরে বস্তির সমস্যা। তবে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য ও বিলম্বে ভর্তির সমস্যা বাংলাদেশে তেমন নেই। এক্ষেত্রে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার জন্য বাকি সাতটি কারণই দায়ী।

গত আগস্টে সরকারি এই প্রতিষ্ঠান ‘বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০১৪ সালের বিভিন্ন তথ্যের ওপর পরিচালিত ওই শুমারি অনুযায়ী প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ছিল প্রায় ২১ শতাংশ।

জেডএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।