আব্দুর রৌফ চৌধুরীর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী কাল
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, সাবেক ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আব্দুর রৌফ চৌধুরীর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী কাল বুধবার। ২০০৭ সালের এই দিনে(২১ অক্টোবর) দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানার ধনতলা গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।
১৯৬২ সালে পঞ্চগড়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মরহুম আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেন সরকারের বড় মেয়ে রমিজা বেগমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।মৃত্যুকালে স্ত্রী, পাঁচ মেয়ে এবং তার একমাত্র ছেলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রেখে যান। ছেলে খালিদ মাহমুদ বর্তমানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
রৌফ চৌধুরী ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ধনতলা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম চৌধুরী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম মৌলভী খোরশেস আলী চৌধুরী ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও মা আয়েশা খাতুন চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী।
১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রণীত ৬ দফা আন্দোলন, পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের ১১ দফাসহ আইয়ুব খানের সামরিক শাসন বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে রৌফ চৌধুরী ছিলেন সব সময় সামনের কাতারে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পূর্বাঞ্চলীয় জোনে মুজিব নগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহম্মেদ ও কামরুজ্জামানের দূত হিসাবে কাজ করেন।
তিনি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের একনাগারে ১৫ বৎসর সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন এবং একই সঙ্গে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। দিনাজপুরে ৭৫’ পরবর্তী সামরিক শাসন বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে তার অবদান অসামান্য।
১৯৮৮ সালে উপজেলা নির্বাচনে বোচাগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে দিনাজপুর- ১ (বীরগঞ্জ- কাহারোল) আসন থেকে বিপুল ভোটে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রৌফ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে জেলা ও বোচাগঞ্জ উপজেলা সংগঠন।
এএসএস/জেডএইচ/আরআইপি