কিন্ডারগার্টেনে হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দাবি
সরকারের কাছে হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দাবি করেছে কিন্ডারগার্টেন, ছায়া শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এমন দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রায় লক্ষাধিক কিন্ডারগার্টেন, ছায়া শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আছে। যেগুলো শতভাগ ভাড়াবাসায় পরিচালিত। প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন। এসব প্রতিষ্ঠান ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি দ্বারা পরিচালিত হয়। কখনও সরকারের সুবিধা ভোগ না করলেও সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হাওয়ায় আমাদের সকল কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। আয়ের উৎসও বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে গত দু’মাসের ভবনের ভাড়া দেয়াও সম্ভব হয়নি। এমনকি শিক্ষক ও স্টাফদের বেতন দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
‘এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী তিন বা চার মাসের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ প্রতিষ্ঠান চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি রক্ষা করা সম্ভব না হয় তবে দেশের বেকার সংখ্যা কয়েক লাখ বেড়ে যাবে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সিংহভাগ ছাত্র-ছাত্রী যারা এসব প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি করে শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ করত, তাদের শিক্ষাজীবনও হুমকির মুখে পড়বে।’
‘যেহেতু এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে চায় না তাই এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট তিনটি দাবি পেশ করেন নেতৃবৃন্দ।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- করোনার এ সংকট মোকাবিলায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এক হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা/প্রণোদনার ব্যবস্থা, বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারীকে একটি করে রেশন কার্ডের ব্যবস্থা এবং দুর্যোগকালীন সময়ে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষক-কর্মচারীকে কমপক্ষে সাত হাজার টাকা সম্মানী ভাতা প্রদান করা।
হানিফ খানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফ্রিল্যান্সার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি শামসেয়ারা খান ডলি, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আরেফিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত ঢালী, ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহতাব উদ্দিন, মানস বোস বাবুরাম, বিপ্লব সরকার ও মো. আবু তালেব প্রমুখ।
এমএইচএম/এমএআর/পিআর