মাধ্যমিকে ঝরে গেল প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থী
মাধ্যমিকে মাত্র দুই বছরে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩শ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। দু’বছর আগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণে নবম শ্রেণিতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট রেজিস্ট্রেশন করেছিল ২০ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৮ জন। তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৮ জন এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। পরে ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। নিয়মিত-অনিয়মিত মিলে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন অংশ নেবে। এর মধ্যে ১০ লাখ ২২ হাজার ৩৩৬ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ জন ছাত্রী।
গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। সেই হিসাবে এবার মোট ৮৭ হাজার ৫৫৪ জন পরীক্ষার্থী কমে গেছে। এবার সারাদেশে ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে মোট ২৮ হাজার ৮৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২টি ও কেন্দ্র ১৫টি বেড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, অন্যান্য বারের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে তার বিস্তারিত তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে। ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সকল সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এমএমএসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এবার এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে। নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে বোর্ডে পাঠাতে হবে।
এদিকে পরীক্ষা সামনে রেখে এবারও সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সবধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ