প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলে ক্লাসে ফিরবেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলেই গ্রেড পরিবর্তনের দাবিতে চলমান আন্দোলন থেকে সরে আসবেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেনের সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠক করে এ দাবি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে সচিবকে জানান শিক্ষক প্রতিনিধিরা।
এছাড়া প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণায়ও অটল বলে জানিয়েছেন তারা। তবে সচিব তাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করানোর আশ্বাস এবং সমাপনী পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সচিবের দফতরে বিকেল ৪টা থেকে টানা দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব শামসুদ্দিন মাসুদ জাগো নিউজকে বিষয়গুলো জানান।
তিনি বলেন, আমরা সচিবের কথায় সন্তুষ্ট। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিন সময় না পেলে আন্দোলন থেকে সরবো না। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে। বৈঠকে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সব সমস্যা ও বৈষম্য তুলে ধরা হবে। তিনি আমাদের যে প্রস্তাব দেবেন সেটাই মেনে নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সমাপনী পরীক্ষার আগে যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় জানানো হয় তবে পরীক্ষা বর্জনের আন্দোলন স্থগিত করা হবে। তা না হলে পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বিকাল ৪টায় সচিবের দফতরে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, শিক্ষক নেতা আনিসুর রহমান, মো. বদরুল আলম, আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, আবদুল্লাহ সরকার, আবুল কাশেম প্রমুখ।
মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। অন্যথায় আন্দোলন থেকে সরব না।
জানা যায়, দাবির বিষয়ে গত সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদিরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষক নেতারা। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তারা। সেখানে এসব দাবি তুলে ধরেন শিক্ষকরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক পাবলিক পরীক্ষা হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষকদের। এ সময় শিক্ষকরা তাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। বিশেষত প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড মেনে নেয়ার সুনির্দিষ্ট আশ্বাস চান।
জবাবে মহাপরিচালক এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি নিয়ে অবগত বলে জনান।
এমএইচএম/এএইচ/পিআর