ভিকারুননিসায় অতিরিক্ত ভর্তি : ফেঁসে যাচ্ছেন দুই শিক্ষক প্রতিনিধি
নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তির অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষক প্রতিনিধির এমপিওভুক্তি (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত দুই শিক্ষককে শোকজের (কারণ দর্শানো) চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঁচ শতাধিক অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ ওঠে। নানা কৌশলে অতিরিক্ত আসন তৈরি করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অবৈধ ভর্তির বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি বাণিজ্যসহ দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে আসনের অতিরিক্ত ৪৪৩ ছাত্রী ভর্তি করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ সময়ে গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মুস্তারি সুলতানা এবং ড. ফারহানা খানম দায়িত্ব পালন করেন। ভর্তি বাণিজ্যের কারণে এই দুই শিক্ষক প্রতিনিধির বেতন-ভাতা কেন বন্ধ করা হবে না, এর ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষকদের ব্যাখ্যার আলোকে সুস্পষ্ট মতামত প্রদান করতে মাউশিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসার শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খানম ও মুস্তারি সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, শোকজের বিষয়ে আমরা জানি না। সামনে প্রতিনিধি নির্বাচন, তাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন।
তাদের অভিযোগ, সাবেক অধ্যক্ষ কলেজের রেজুলেশন ছাড়াই অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তি করেছেন। ভর্তি করানোর এখতিয়ার একমাত্র তার কাছে, কোনো শিক্ষক তা করতে পারেন না। তাদেরকে ফাঁসানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
উল্লেখ্য, ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তি করায় এর আগে গত ২৪ আগস্ট সাবেক অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হাসিনা বেগমকে শোকজ চিঠি দেয়া হয়। ২৯ আগস্টের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এরপর একই প্রতিষ্ঠানের আরও দুই শিক্ষক প্রতিনিধিকে শোকজ দেয়া হলো।
এমএইচএম/এমএসএইচ/জেআইএম