সমাপনী পরীক্ষা নিতে গঠিত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। এ প্রস্তাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গেছে।

বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ড হলে তার অধীনে এই পরীক্ষা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলবে। যেহেতু প্রতি বছর বিপুল শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, তাই শুধু অধিদফতরের পক্ষে এই পরীক্ষা নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে অধিদফতরের অন্যান্য কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রাথমিকের চেয়ে অনেক কমসংখ্যক পরীক্ষার্থী নিয়েও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বেশ কয়েকটি (১১টি) শিক্ষা বোর্ড রয়েছে। বিশাল কর্মযজ্ঞের কথা বিবেচনা করেই ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড ’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ‘বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তাবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটকে’ বিলুপ্ত করে এর জনবল ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডে’ একীভূত করা হবে। কারণ, দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করা হয়েছে।

psc

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড করার জন্য আইন করতে হবে। সেটির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে প্রায় ৬৬ হাজার। প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখের মতো শিক্ষার্থী প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ২০০৯ সালে অনকেটা আকস্মিকভাবেই সারা দেশে পঞ্চম শ্রেণি শেষে কেন্দ্রীয়ভাবেই সমাপনী পরীক্ষা চালু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই এই পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। এমনকি ২০১০ সালে করা জাতীয় শিক্ষানীতিতেও কেন্দ্রীয়ভাবে এই পরীক্ষা নেয়ার সমর্থন করেনি।

শিক্ষক ও অভিভাবকেরা বলে আসছেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার নামে শিশুদের ওপর ‘বোঝা চাপিয়ে’ দেয়া হয়েছে। কোচিং-প্রাইভেট টিউশন ও সহায়ক বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে।

এমএইচএম/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।