প্রাথমিকে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত পদের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে (ডিপিই) প্রস্তাবনা তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনা পাওয়ার পর তা সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন দেয়া হবে। অনুমোদনের পর শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের বিদেশ ভ্রমণ, ব্যক্তিগত ও মেডিকেল ছুটি, নারী শিক্ষকদের মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ বিভিন্ন কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা অনুপস্থিত থাকেন। এ কারণে পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকদের অনুপস্থিতির কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পড়ছে। এ সমস্যা দূর করতে বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সৃষ্ট পদের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য ডিপিইতে প্রস্তাবনা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন রোববার (১৮ আগস্ট) জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছুটিতে থাকায় অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। তাদের শূন্যতা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সারাদেশে শিক্ষকদের সৃষ্ট পদের রাজস্ব খাতভুক্ত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০ শতাংশ হিসাবে অতিরিক্ত কতজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন সেটি উল্লেখ করে ডিপিইকে প্রস্তাবনা দিতে বলা হয়েছে। এ প্রস্তাবনা পাওয়ার পর সচিব কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন হলে অতিরিক্ত হিসেবে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণ নিয়োগের মাধ্যমে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।’
সম্প্রতি জাতীয়করণসহ সারাদেশে মোট ৬৫ হাজার ৫৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ৬৫ হাজার ১৭০ প্রধান শিক্ষক ও ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৬ জন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃজন থাকলেও সেখানে ৪৯ হাজার ২১৯ জন প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্বসহ) ও ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। অতিরিক্ত ২০ শতাংশ নিয়োগের জন্য নতুন করে আরও ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ পাবেন।
এমএইচএম/এনডিএস/পিআর