গ্রিন টি কেন খাবেন


প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সাধারণ চা আর গ্রিন টি’র মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে প্রক্রিয়াজাতকরণে। অন্যান্য চা তৈরি করতে ‘ফারমেনটেইশন’ বা গাঁজন প্রক্রিয়া চালানো হয়ে, গ্রিন টি’র ক্ষেত্রে তা করা হয় না। ফলে অন্যান্য চা থেকে গ্রিন টি’তে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ও পলি-ফেনলস বেশি থাকে। তাই অন্যান্য চা থেকে গ্রিন টি’র উপকারিতা বেশি। চা গাছের সবুজ পাতাই মূলত গ্রিন টি। এই চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ই ওসি। এছাড়াও রয়েছে ক্যালমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও বিভিন্ন মিনারেল। চলুন জেনে নিই, গ্রিন টি`র কিছু উপকারিতা-

গ্রিন টি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ কাপ সবুজ চা খেলে অতিরিক্ত ৬৭ ক্যালোরি পোড়ানো যায়।

খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, যা প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রিন টি। ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না।

গ্রিন টি খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভালো কোষগুলোর কোনো ক্ষতি না করে সার্বিকভাবে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করে।

গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ায়।

গ্রিন টি’র ‘ক্যাটেকাইন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভিতরের বিভিন্ন ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে। যা গলার ইনফেকশনসহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমিয়ে আনে।

নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায়।

প্রকৃতিকভাবেই ‘থিয়ানিন’ নামের অ্যামাইনো এসিড চা পাতায় পাওয়া যায়। এই উপাদান দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

চায়ের ক্যাটেকাইন উপাদান অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে বেশ কার্যকর। ফলে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত সব রকমের রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অনেক রোগ বিস্তারেও বাধা দেয় গ্রিন টি।

মুখে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে গ্রিন টি’র জুড়ি নেই। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি উপাদান ত্বকে বলি রেখা পড়তে দেয় না। তাছাড়া এটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমাতে ও ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের জন্য দায়ী কোষ জন্মাতে বাধা দেয় গ্রিন টি, পাশাপাশি উপকারী কোষকে উজ্জীবিত করে।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।