শিক্ষকদের অনশনে অসুস্থ ২৭৩, ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৯

জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা টানা ৪৬ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত আন্দোলনে ২৭৩ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ১৭ শিক্ষক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং একজন মারা গেছেন।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চললেও দাবির বিষয়ে সরকার মুখ খুলছে না।

তারা বলেন, প্রথমে টানা ১৪ দিন অবস্থান ধর্মঘট চলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। দাবি না মানায় ৩২ দিন ধরে অনশনে রয়েছেন তারা। এর মধ্যে ২৭৩ শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। বর্তমানে ডেঙ্গুর ভয়ে অনেকেই বাড়ি চলে গেছেন। অর্ধশতাধিক শিক্ষক রয়ে গেছেন প্রেস ক্লাবের সামনে।

শিক্ষকরা বলেন, বেতন না পেয়ে ধুকে ধুকে মরার চেয়ে বেতনের দাবিতে আন্দোলন করে ডেঙ্গুতে মরা ভালো।

press

আন্দোলনকারী শিক্ষক বদরুল আমিন সরকার ফরহাদ বলেন, ‘শিক্ষকতা করি, কিন্তু বেতন পাই না। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ দিতে পারি না। ভালো পোশাক দিতে পারি না। সন্তান, বাবা-মা কিংবা পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসা করাতে পারি না।’

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম জাফর ইকবাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ২০১২ সালের ২৭ মের আগে স্থাপিত ও পাঠদানের অনুমোতির জন্য আবেদন করা সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হবে তিন ধাপে। কিন্তু প্রথম, দ্বিতীয় ধাপের পর তৃতীয় ধাপেও ২০১২ সালের ২৭ মের আগের স্থাপিত অনেক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়নি।‘

তৃতীয় ধাপেও জাতীয়করণ না করা এসব বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন করছেন।

জাফর ইকবালের অভিযোগ, ‘তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয়গুলোর সমপর্যায়ের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তারা জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়েছেন।’

পিডি/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।