প্রস্তুতি ও নকলমুক্ত পরীক্ষা আয়োজনে ভালো ফল : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯

শিক্ষার্থীদের ভালো প্রস্তুতি ও নকলমুক্ত পরিবেশে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। আবার যারা খারাপ পরীক্ষা দিয়েছে তারা এ দুটিতে পিছিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র সহজ বা কঠিন করায় পাশের হারে প্রভাব পড়েনি। যারা ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে তারা ভালো করেছে, আর যাদের প্রস্তুতি দুর্বল ছিল তারা ভালো ফল পায়নি। তবে যে সকল বোর্ড ভালো করছে তারা আরও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, যাতে তাদের ভালো ফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে আমরা কাজ শুরু করেছি। এটি গুচ্ছ পদ্ধতিতে অথবা মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার আদলে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা চান তাদের নিজেদের মতো করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে ভর্তি করাতে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত হতে সম্মতি রয়েছে।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চরমভা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও চরম পর্যায়ে। একজন শিক্ষার্থী প্রায় ৪-৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। এ জন্য অনেকে রাস্তায় বা মসজিদেও গিয়ে রাতে ঘুমাতে হয়। কিন্তু মেয়েদের কোথাও গিয়ে থাকার স্থান থাকে না। এসব সহজিকরণে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়ন করছি। আগামী বছর থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হতে পারে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১৭ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়ালেখা করলেও সরকার এটিকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতোমধ্যে স্কুল ও মাদরাসায় দুটি করে ট্রেড কোর্স চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এমএইচএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।