রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে আমরণ অনশনে শিক্ষকরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পরও তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৫ দিন ধরে আমরণ অনশনে।
জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৬ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত টানা ১৩ দিন অবস্থান ধর্মঘট করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এর মধ্যে তাদের দাবি-দাওয়া মানা না হলে ২৯ জুন তারা প্রতীকী অনশন করেন। তাতেও কাজ না হলে ৩০ জুন থেকে অনশন শুরু করেন এই শিক্ষকরা। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা ৩ জুলাই থেকে আমরণ অনশনে।
আজ (শুক্রবার) দেখা যায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের পাশের রাস্তার ফুটপাতে তারা এই আমরণ অনশন করছেন। রয়েছেন শিক্ষিকারাও। কোনো কোনো শিক্ষিকার সঙ্গে রয়েছে কোলের শিশুও।
তারা বলছেন, ২০১২ সালের ২৭ মের আগে অনুমোতির জন্য আবেদন করা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করতে হবে। আমাদের এই একটিই দাবি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আমরণ অনশনেই থাকবেন।
বর্ষাকাল হওয়ায় কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি। শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলছেন, তাদের রোদে পুড়তে হচ্ছে, আবার বৃষ্টিতেও ভিজতে হচ্ছে। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে উপরে পলিথিন দিলেও কখনও কখনও শেষ রক্ষা হয় না।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এসব শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই আমরণ অনশন করছেন।
সংগঠনটির মহাসচিব কামাল হোসেন বলেন, ‘২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ৯১৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেয় সরকার। সিদ্ধান্ত হয়, তিন ধাপে বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয়গুলোর সমপর্যায়ের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ওই সময় কিছু কর্মকর্তার কর্মস্থলে না থাকা এবং কিছু কর্মকর্তার অবহেলার কারণে তৃতীয় ধাপ থেকে কিছু বেসরকারি বিদ্যালয় বাদ পড়ে।’
বাদ পড়া এসব বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে তাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
পিডি/জেডএ/এমএস