২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান


প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শিক্ষকদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। অন্যথায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার অর্থমন্ত্রীকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এর সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অর্থমন্ত্রীর প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। যা শুধু অনভিপ্রেতই নয় অসংলগ্নও। অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও অযাচিত, বিরূপ ও হাস্যকর মন্তব্য করে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, শুধু তাই নয়, অতীতে তিনি স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রী ছিলেন এবং এখনো তার স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি বিধায় তিনি এরকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। শিক্ষকদের সম্পর্কে তার এরকম মন্তব্য বাংলাদেশের শিক্ষা পরিবারের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি সদস্যের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এমতাবস্থায় আমরা অর্থমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানাই। অন্যথায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার তাকেই বহন করতে হবে।

শিক্ষকরা বলেন, ঘোষিত বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চার দফা দাবির কোনোটিই গ্রহণ করা হয়নি, এমনকি দাবি পূরণের বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়নি। উপরন্তু অর্থমন্ত্রী মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সপ্তম বেতন কাঠামোতে সচিবদের ন্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকদের অবস্থান ছিল সর্বোচ্চ গ্রেড ১-এ। শুধুমাত্র মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মূখ্য সচিব গ্রেড-১ এ থাকলেও একটি অতিরিক্ত ভাতা পেতেন। কিন্তু সদ্য ঘোষিত অষ্টম বেতন স্কেলে গ্রেড-১ এর উপরে আরো দুটি বিশেষ ধাপ থাকায় এবং সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় অধ্যাপকরা আর কোনোদিনই গ্রেড-১ প্রাপ্ত হবেন না। প্রকারান্তরে শিক্ষকদের চার ধাপ অবনমন করা হয়েছে।

বিবৃতিতে অারো বলা হয়েছে, শিক্ষকরা প্রত্যাশা করেন, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও মর্যাদাগত বৈষম্যের বিষয়টি নিরসনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা-পর্যালোচনা করে অনতিবিলম্বে সকল দাবি-দাওয়া পূরণ করবেন।

অন্যথায় শিক্ষকরা যৌক্তিক দাবিসমূহ পূরণে লাগাতার কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

এমএইচ/এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।