ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ১১ মে ২০১৯

সদ্য প্রকাশিত হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার ফল। শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা এখন নামকরা কলেজে ভর্তির নিশ্চয়তা নিয়ে চিন্তিত। অনেকেই চাইবেন ঢাকা শহরের নামকরা কলেজে ভর্তি হতে। ঢাকা বোর্ডে 'এ' শ্রেণির কলেজে আসন সংখ্যা ১ লাখ। প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী ঢাকা বোর্ডের অধীনে 'এ' শ্রেণির কলেজ ৮২টি।

শহরের অন্যান্য নামকরা কলেজগুলোর মধ্যে ঢাকা কলেজ অন্যতম। ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তার সুনাম ধরে রেখেছে। আজকের আয়োজনে থাকছে ঢাকা কলেজে ভর্তির খুঁটিনাটি।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৭, ২০১৮,২০১৯ সালে যে কোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ন্যূনতম জিপিএ ৫, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪.৭৫ এবং মানবিক বিভাগ থেকে ৪.৫০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিজ্ঞান বিভাগে আসন সংখ্যা ৮১০, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৩৫ এবং মানবিক বিভাগে আসন সংখ্যা ১৩৫।

আবেদনের নিয়ম
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আগামীকাল (১২ মে) থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে অনলাইনে কমপক্ষে ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে www. xiclassadmission.gov.bd ঠিকানায়।

টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও এসএমএস করে আবেদন করা যাবে। শিক্ষার্থীর ফল ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নির্বাচন করে দেয়া হবে। ৩০ জুন ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।

ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আবাসিক হল রয়েছে। শেখ কামাল ছাত্রাবাস শুধু বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য। অন্য আবাসিক হলে বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সর্বমোট উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত আবাসিক হলে সিটের সংখ্যা প্রায় ৪০০। রাজনীতিবান্ধব ক্যাম্পাস হলেও উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা হয় না। পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস ও ৮০% উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। উপস্থিতি যাচাই করা হয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস এটেন্ডেন্সের মাধ্যমে।

শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদ জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া ছাত্রদের ক্লাসে উপস্থিতি ৮০% এর কম হলে পরীক্ষার হলে বসতে দেয়া হয় না। পর পর ৩ দিন অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবককে জানানো হয় এবং নিয়মিত ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা নেয়া হয়।

ভর্তি পরীক্ষার ফি এবং ভর্তি ভোগান্তি দূর করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আরও বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন হবে। দেশের যে কোনো স্থানে বসেই ভর্তি নিশ্চিত করা যাবে এবং সরকার নির্ধারিত ফি দিয়েই শিক্ষার্থী ভর্তি হবে।ৎ

এমইউ/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।