ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫ ও পাসের হার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ০৬ মে ২০১৯

মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার শিক্ষার্থীদের পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার হার দুটোই কমেছে। তবে সংখ্যার ভিত্তিতে পাস ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস আজ সোমবার (৬ মে) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার হার কমলেও অসন্তুষ্ট নন নাজনীন ফেরদৌস। তিনি বলেন, ফলাফল তো একটু এদিক ওদিক হবেই। সামনে আমরা আরও ভালো করবো বলে আশা করছি। এটাকে আমরা কোনো ব্যর্থতা মনে করছি না। ভালোই করেছি বলে মনে করছি। যারা পরীক্ষা দিয়েছে তাদের গড় নম্বরটা ভালো।

তিনি জানান, এবার মাধ্যমিকে পরীক্ষা দিয়েছিল ১ হাজার ৮২৬ জন। পাস করেছে ১ হাজার ৮২৩ জন। ফেল করেছে তিনজন। তাদের মধ্যে দুজন বিজ্ঞান বিভাগের এবং একজন বাণিজ্য বিভাগের। শতকরা ৯৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৮২ জন। জিপিএ-৫ পাওয়ার হার ৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, বিজ্ঞান বিভাগের ১ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৪৪ জন। বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ জন, এই বিভাগ থেকে পরীক্ষার্থী ছিল ১২৭ জন। মানবিক বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

নাজনীন ফেরদৌস বলেন, আমাদের ফলাফল গত বছরের মতোই। গত বছর ১ হাজার ৬১২ জন শিক্ষার্থী পাস করেছিল। পাসের হার ছিল ৯৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৪৪১ জন। জিপিএ-৫ পাওয়ার হার ছিল ৮৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। সুতরাং গত বছরের তুলনায় এবার ফলাফল খুব একটা এদিক ওদিক হয়নি।

ভিকারুননিসায় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনা পরীক্ষার ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভিকারুননিসায় যে ঘটনা ঘটেছে পরীক্ষার ওপর তার কোনো প্রভাব পড়ার সুযোগ নেই। আমরা প্রশাসনিক বিষয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের জড়াচ্ছি না। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুযোগ ঠিক আছে।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। শিক্ষার্থী ঘিরে হলেও ওদের ওপর এর প্রভাব সেভাবে পড়ার কথা নয়। কারণ, ওরা বুদ্ধিমতি এবং নিজেদের ভালোটা বোঝে। সেই সঙ্গে কীভাবে ওভারকাম করা যায় তা ওরা বোঝে। এত বড় প্রতিষ্ঠানে কখনো কখনো কোনো ঘটনা ঘটতেই পারে। সেগুলোতে তারা আক্রান্ত হয় না। এ ধরনের প্রভাবে তাদের রেজাল্ট খারাপ হবে- এটা আমি মনে করি না। বিচ্ছিন্ন একটা ঘটনা ওদের সাফল্যের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে তা আমি মনে করি না।

তিনি আরও বলেন, সার্বিক ফলাফল আরও একটু ভালো হতে পারতো। তবে এটা আমি ব্যর্থতা মনে করি না। এমন কিছু ব্যর্থতা নেই, সাফল্য সামনে আরও ভালো আসবে। গত বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ এর হার একটু কমেছে। কিন্তু পুরো বাংলাদেশের চিত্রে যদি আমাদের মূল্যায়ন করেন, তাহলে আমি বলবো আমরা তো ভালোই করেছি।

এমএএস/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।