ব্রিটিশ কাউন্সিল অ্যাওয়ার্ড পেল প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুল

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯

দূরের শিক্ষার্থীদের স্কুলের নিজস্ব বাসে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়। স্কুলের পাশেই রয়েছে একটি হাসপাতাল। এখানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকে। ব্যতিক্রমী এই স্কুলটির নাম প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুল।

মানসম্মত শিক্ষা প্রদান ও শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করায় স্কুলটি অর্জন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যাওয়ার্ড। শিগগিরই স্কুলটির পক্ষ থেকে এ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করা হবে। মানসম্মত শিক্ষা ও পাঠ্যপুস্তকবহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনার বিবেচনায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের দেয়া এ অ্যাওয়ার্ড স্কুলটিকে দেশের অন্যতম একটি সেরা স্কুলের সম্মান এনে দিল।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের এ স্বীকৃতির ফলে স্কুলটি দেশের বাইরেও একটি সেরা স্কুল বলে বিবেচিত হবে। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৈশ্বিক সিটিজেনশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। এ ছাড়া স্কুলের কারিক্যুলাম উন্নয়নসহ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদান করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল।

এ অ্যাওয়ার্ড লাভের আগে স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার নেয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি টিম। আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষার মানদণ্ডের ভিত্তিতে টিম স্কুলের একাডেমিক ও পাঠ্যপুস্তকবহির্ভূত কার্যক্রমে মুগ্ধ হয়ে এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য স্কুলটিকে মনোনীত করে।

প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। বহুতল ভবনের সামনেই রয়েছে একটি বিশাল মাঠ। ভবনটিতে চলছে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম। সময়মতো স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আসা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর এলাকায় ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় প্রাণ-আরএফএল স্কুল।

বর্তমানে স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৬০০। স্কুলটিতে নার্সারি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করাচ্ছে ন ২৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এ স্কুলে প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তান ছাড়াও আশপাশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে। তার মধ্যে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের স্কুলের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

স্কুলটি থেকে প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৮ জন কৃতকার্য হয়। এর মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী এ-প্লাস পায়। এবার ১৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

স্কুলটি পরিদর্শনকালে দেখা যায়, স্কুলের চারপাশে প্রাচীর। গেটে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাকর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন। কথা হয় এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে।

তারা বলেন, এ স্কুলটি হওয়ায় তৃণমূলের সন্তানরা মানসম্মত শিক্ষাগ্রহণ করতে পারছে। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।

স্কুলের উপাধ্যক্ষ কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকরা অতি যত্ন সহকারে শিক্ষার্থীদের মাঝে সুশিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে স্কুলটি। আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই।’

এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।