প্রাথমিক শিক্ষক বদলির তদবিরে ডিপিইতে তালা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৯

শিক্ষক বদলির তদবিরে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালকের। বদলির জনস্রোত ঠেকাতে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অধিদফতরের মূল ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়।

এদিন প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষকের আগমন ঘটে। সবার একটাই জিজ্ঞাসা, ‘ডিজি স্যার কি আছেন?’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিকের শিক্ষক বদলির আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। বদলি বিধিমালা অনুযায়ী, রোববার ছিল বদলি হওয়ার শেষ দিন। এ কারণে ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ডিপিইতে ভিড় করেন শিক্ষক ও তাদের স্বজনরা। বিভিন্ন মহলের তদবির নিয়ে ডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন তারা।

সরেজমিন দেখা যায়, বদলি তদবিরের ভিড়ে ডিজির কক্ষের মধ্যে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। উপস্থিত সবার হাতেই বদলি আবেদনের কপি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। কেউ উপর মহলের তদবিরে বদলি করাতে অনুরোধ জানান, আবার কেউ মানবিকসহ নানা কারণ দেখিয়ে বদলির জন্য ডিজির কাছে অনুরোধ জানান।

তাদের অনুরোধের ভিত্তিতে আবেদন জমা রাখা হয়। উঁচু মহলের তদবির নিয়ে আসা বদলিপ্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে ডিজিকে বলতে শোনা যায়, ‘দেখব, দেখি কী করা যায়, হয়ে যাবে...।’ অনেকে আবার ডিজির সাক্ষাৎ না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন।

ডিপিই কর্মকর্তারা জানান, মূলত ডিপিইতে তদবির নিয়ে আসা জনস্রোত ঠেকাতে মূল ভবনের গেটে তালা দেয়া হয়। বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়। সাড়ে ৬টার দিকে ডিজি ড. এ এফ এম মনজুর কাদির নিচে নেমে আসেন। তিনি গেটের কাছে অপেক্ষমানদের বাসায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। বলেন, ‘আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী বদলির চেষ্টা করব।’ এরপরও সেখানে আগতদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

ডিপিই কর্মকর্তারা জানান, গত ২৫ মার্চ বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মোট ৪০ জন এবং রংপুর জেলায় ১২ জন সহকারী শিক্ষককে বদলি করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে আরও ১২ জন শিক্ষককে ঢাকায় বদলি করা হয়।

এদিকে, রোববার সকালে ডিপিইতে এক বৈঠকে আরও অর্ধশত সহকারী শিক্ষককে ঢাকায় বদলির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ডিপিই মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির এ বিষয়ে বলেন, শিক্ষক বদলির তদবিরে অস্থির অবস্থা। রোববার শেষদিন হওয়ায় উপচে পড়া ভিড় সৃষ্টি হয়। তবে সবার আবেদন জমা রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের সব জেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী সহকারী ও প্রধান শিক্ষক বদলি করা হবে। অধিকাংশই ঢাকায় বদলি হতে আগ্রহী। এখানে বদলি হতে প্রায় ১০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।

তবে ঢাকায় মোট কতজন শিক্ষককে বদলি করা হবে তা নিশ্চিত করে জানাননি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক।

এমএইচএম/আরএস/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।