এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে ২২ পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৯

আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে ২২ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (২৫ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা-সংক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। তবে অনিবার্য কারণে কেউ দেরি করলে গেটের সামনে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে সচিব ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রশ্নফাঁস সম্পর্কে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস-সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। প্রশ্নফাঁস কিংবা শিক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা ও জেলা প্রশাসন কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

এছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলমসহ ইলেট্রনিক্স ডিভাইজ ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। যদি কেউ এ নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিটিন পূর্বে প্রশ্নপত্রের সেট কোট ঘোষণা করা হবে। সেই অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরের পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে। এছাড়াও প্রশ্নপত্র ছাপানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিজি প্রেসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জেলা ট্রেজারিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে প্রশ্নপত্র সর্টিং (বাছাই) করতে হবে ও দিনভিত্তিক একই সেটের সব প্রশ্ন একটি বড় খামে প্যাকেটজাত করে নিরাপত্তা টেপ লাগাতে হবে। ট্রেজারিতে রক্ষিত প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর তিনদিন পূর্বে দিনভিত্তিক ও সেটভিত্তিক সর্টিং করে সিকিউরিটি খামে সংরক্ষণ করতে হবে। বোর্ডগুলো যথাসময়ে বড় খাম ও সিকিউরিটি টেপসহ আনুষঙ্গিক জিনিস জেলা প্রশাসকদের সরবরাহ করবে। প্রত্যেক কেন্দ্রের অভ্যন্তরে একটি ফটোকপি মেশিন রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পরীক্ষা চালাকালীন ও এর আগে-পরে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজের সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ব্যতীত অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। কোনো শিক্ষক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো ব্যক্তি পরীক্ষার সময় বেআইনি কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্ন কেন্দ্রে পৌঁছানের জন্য দূরত্ব অনুযায়ী বেশি সময় আগে প্রশ্ন বিরতণ না করে প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ করে প্রশ্নপত্র বিতরণ করতে হবে। যদি কোনো মোবাইল নম্বরে একাধিকবার একই অংকের টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। অনিবার্য কারণে পরীক্ষা শুরু করতে বিলম্ব হলে প্রশ্নে উল্লেখিত নির্ধারিত সময় শিক্ষার্থীদের দিতে বলা হয়েছে।

এমএইচএম/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।