১ এপ্রিল থেকে সব কোচিং বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৯

১০টি বোর্ডের অধীনে আগামী ১ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনা ও প্রশ্নফাঁস রোধে ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সকল ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আসন্ন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ ঘোষণা দেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ বছর ৮টি সাধারণ ও মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে সাধারণ ৮টি বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে ৭৮ হাজার ৪৫১ জন ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। সারাদেশে মোট ৯ হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে মোট ২ হাজার ৫৮০ কেন্দ্রে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও প্রশ্নফাঁস রোধে দেশের সকল ধরনের কোচিং সেন্টার ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিভিন্ন ধরনের কোচিং সেন্টার পাবলিক পরীক্ষার সময় বন্ধ রাখার নির্দেশনা অমান্য করে নানাভাবে সেগুলো খোলা রাখার চেষ্টা করা হয়। এ কারণে বাধ্য হয়ে সকল ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম দিয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১১ মে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট ও তত্ত্বীয় পরীক্ষার জন্য আড়াই ঘণ্টা নির্ধারিত থাকবে। ১২ মে থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ২১ মে পর্যন্ত চলবে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার বাংলা ভার্সনের জন্য সৃজনশীল, রচনামূলক প্রশ্ন ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য মোট ৯৫০টি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। ইংরেজি ভার্সনের জন্য সৃজনশীল, রচনামূলক প্রশ্ন ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে মোট ৮৯২টি। ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডে ১৪টি বিষয়ে ২৭টি পত্রের জন্য সৃজনশীল রচনামূলক ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট ২ হাজার ১০০টি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডিজিটের রোল নম্বর প্রদান করা হয়েছে। উভয় শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা কক্ষ, আসন বিন্যাস ও আলাদা প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রমুখ।

এমএইচএম/এমএসএইচ/পিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।