সরকারি ক্রয় বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ঢাকায়


প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৫

‘টেকসই ক্রয় সম্পাদনের জন্য উদ্ভাবন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১ নভেম্বর ঢাকায় তিন দিনব্যাপী সরকারি ক্রয় বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করতে যাচ্ছে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট(সিপিটিইউ)।

মূলত ইন্টারনেটভিত্তিক দরপত্র কার্যক্রমে কারিগরি উৎকর্ষতা বাড়ানোর উপায় জানাতে আইএমইডি’র অধীনস্থ এই প্রতিষ্ঠানটি এ ধরনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করছে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকার সম্মেলন আয়োজনের প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ‘তৃতীয় দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক পাবলিক প্রকিউরমেন্ট কনফারেন্স’ শীর্ষক এ আয়োজনে বাংলাদেশসহ আটটি দক্ষিণ এশীয় দেশের শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধি, বেসরকারি প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবে।

এছাড়াও ল্যাটিন আমেরিকান রিজিওনাল পাবলিক প্রকিউরমেন্ট নেটওয়ার্ক, ইউরোপিয়ান প্রকিউরমেন্ট নেটওয়ার্ক এবং চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং অ্যান্ড সাপলাই এর প্রতিনিধিরাও কনফারেন্সে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন।

এবারের তৃতীয় এ কনফারেন্সের সভাপতিত্ব করবেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট(সিপিটিইউ)এর মহাপরিচালক মো. ফারুক হোসেন।

আসন্ন সম্মেলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি ক্রয় কিভাবে আরো মসৃণ করা যায় সম্মেলনে এ বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। এজন্য এ সংক্রান্ত কারিগরি উৎকর্ষতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেয়া হবে। আমরা মনে করি সরকারি ক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ত প্রফেসনাল বডি আমাদের এখানে এখনো গড়ে ওঠেনি। এ বিষয়টিকে আমরা সম্মেলনে তুলে ধরে এর সম্ভাব্য সমাধান আশা করছি। একইসাথে আশা করছি এ কনফারেন্সে কিছু ফ্রেইমওয়ার্ক চুক্তি সম্পন্ন হবে। সরকারি ক্রয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে।

সর্বোপরি সংখ্যাতাত্ত্বিক কৌশল ব্যবহার করে সরকারি ক্রয় কার্যক্রম বিষয়ক পারফরম্যান্স কিভাবে পরিমাপ করা যায় সে বিষয়টিও সম্মেলনে উঠে আসবে’।

আসন্ন সম্মেলন থেকে কি প্রাপ্তি হতে পারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক হোসেন বলেন, ‘আশা করছি এ সম্মেলন থেকে সরকারি ক্রয়ে সময় ভিত্তিক ও আধুনিক বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারিত হবে। একইসাথে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিষয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে ওঠবে বলে আশা করছি’।

সরকারি ক্রয়ে তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার বাড়ছে জানিয়ে সিপিটিইউ মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০১১ সাল থেকে ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বছরের জুলাই পর্যন্ত ২৪টি মন্ত্রণালয়ের ৯৮টি সংস্থা ই-জিপি’র মাধ্যমে ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করছে। প্রকৃতঅর্থে, অনলাইন ভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে সরকারি ক্রয় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সমআচরণ ও অবাধ প্রতিযোগিতাকে অধিকতর নিশ্চিত করে’।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের এপ্রিলে নেপালের কাঠমান্ডুতে প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক পাবলিক প্রকিউরমেন্ট কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে, ২০১৪ সালের মার্চে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এ সংক্রান্ত দ্বিতীয় কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

এসএ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।