গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শিশুর মৃত্যু


প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৫

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এদিকে জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে আনিছুর রহমান (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় জেলার ৪টি উপজেলার ৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ফুলছড়ি উপজেলার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন বন্ধ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় এ জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ৬৭টি গ্রামের ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এছাড়া এ পর্যন্ত ১১ কি. মি. সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২ হাজার ২শ ৪২ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া জরুরি ত্রাণ সাহায্য বাবদ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৫২ মে. টন খাদ্য শস্য এবং ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের মধ্য খাটিয়ামাড়ি গ্রামে আনিছুর রহমান (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে । সোমবার সন্ধ্যার পর ওই  ঘটনা ঘটে। আনিছুর রহমান ওই গ্রামের হুরমুজ আলীর ছেলে।

এলাকাবাসী জানায়, টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বসতবাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে যায়। খাটিয়ামাড়ি গ্রামের অধিকাংশ বসতবাড়ি এখন পানির নিচে। সোমবার সন্ধ্যায় আনিছুরকে ঘরের বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তার মা রান্নার কাজ করছিলেন। এ সময় আনিছুর ঘরের পানিতে ডুবে মারা যায়। পরে রান্নার কাজ শেষ করে তার মা ঘরে এসে আনিছুরের ভাসমান মরদেহ দেখতে পান।  

ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন জালাল পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অমিত দাশ/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।