আজ থেকে এক মাস কোচিং সেন্টার বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯
ফাইল ছবি

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে মাসব্যাপী কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আজ (২৭ জানুয়ারি) থেকে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা বস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

পাশাপাশি এবার অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি ফয়েল পেপারের বিশেষ নিরাপত্তা-প্যাকেটে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গত ২০ জানুয়ারি (রোববার) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় সর্বমোট ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬০ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে দাখিলে অংশ নিচ্ছেন তিন লাখ ১০ হাজার ১৭২ জন। এসএসসি ভোকেশনালে পরীক্ষা দেবেন এক লাখ ২৬ হাজার ৩৭২ জন। সারাদেশে মোট পরীক্ষা কেন্দ্র তিন হাজার ৪৯২টি।

এ পরীক্ষা সামনে রেখে গত ২০ জানুয়ারি বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় মনিটরিং ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার থাকবে। এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। যদি বিশেষ কোনো কারণে কারও দেরি হয় সেই ক্ষেত্রে দেরির কারণ ও পরীক্ষার্থীর নাম ঠিকানা লিখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে আরেকটি পদক্ষেপ হচ্ছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সীমিত করা। কেবল কেন্দ্র সচিব ক্যামেরাবিহীন ও ইন্টারনেট সংযোগ পায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। এছাড়া পরীক্ষা ও প্রশ্ন বহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ কোনো মোবাইল ফোনই ব্যবহার করতে পারবেন না। পরীক্ষার কাজে জড়িত নন এমন কেউ কেন্দ্রে যেতে পারবেন না। এসব নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের দায়ে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি পেতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করব, সংশ্লিষ্ট সবাই সুষ্ঠু পরীক্ষা গ্রহণে সহায়তা করবেন।

দীপু মনি বলেন, নানা পদক্ষেপ নেয়ার ফলে ২০১৮ সালে প্রশ্নফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ কারণে ২০১৮ সালে নেয়া পদক্ষেপগুলো এবারও অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি আমরা নতুন আরও কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি। কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হবে। প্রশ্নফাঁসের চেয়ে অতীতে গুজবই ছিল বেশি। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হয়েছে। গুজব রোধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে গঠিত গুজব প্রতিরোধ কমিটি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও কাজ করবে। প্রশ্নফাঁসকারী ও গুজবকারীদের পাকড়াও করা হবে। এসব বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি অব্যাহত আছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদমনে সরকার সফল হয়েছে। সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলছে মাদকবিরোধী অভিযান। প্রশ্নফাঁস বন্ধের এই লড়াইয়েও সরকার সফল হবে। আশা করছি, কেউ ফাঁস তো দূরের কথা, গুজব রটানোর অপচেষ্টাও করবেন না। কেননা, সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।

এমইউএইচ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।