ভাঙা সড়কে বিব্রত ইউজিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২১ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ভবন সংলগ্ন সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার অনুপযোগী। রাজধানীর আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এ সড়কটির অবস্থা বেশ করুণ। খানা-খন্দে ভরা এ সড়কে চলছে বিভিন্ন সংস্থার কাজ। ফলে বছরব্যাপী এমনকি এই শীতেও জলাবদ্ধতা লেগেই আছে।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ইউজিসি। এতে আসা-যাওয়া করেন দেশ-বিদেশের উচ্চশিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। বেহাল এ সড়কের কারণে অতিথিদের কাছে বিব্রত হতে হয় ইউজিসিকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বেশিরভাগ গর্ত সৃষ্টি হয়েছে ইউজিসির প্রবেশ দ্বারে ও সংলগ্ন স্থানে। ফলে কমিশনে আসা অতিথিদের গাড়ি রাস্তার গর্তের নোংরা পানিতে নাকানি-চুবানি খেয়েই এর ভেতরে প্রবেশ করে। এতে যানবাহনেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ভাঙা সড়ক ব্যবহার করতে যেয়ে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার এডিবির পদস্থ এক কর্মকর্তার গাড়ি ইউজিসিতে প্রবেশকালে গাড়ির পেছনের একটি অংশ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে ইউজিসির এক কর্মকর্তা জানান।

ভাঙা আর পানিতে ডোবা রাস্তা দিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন, পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, পিকেএসএফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কোস্ট গার্ড, মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সংগীত কলেজে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়। এতে বহু মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল ও প্রতিদিনের কর্মঘণ্টা ব্যহত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, দেশের ১৫০টির অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তদারকির দায়িত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। প্রতিদিন বিশ্বব্যাংক, এডিবি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, দূতাবাসের পদস্থ কর্মকর্তা, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষা প্রশাসক, পরিকল্পনাবিদ বিভিন্ন কাজে ইউজিসিতে আসেন। সড়কের দুরবস্থায় আমরা বিব্রত হই এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের কাছে ভবন সংলগ্ন সড়কটি অতিদ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

এমএইচএম/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।