বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন ৩০ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৬ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৯

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার শূন্য আসনের বিপরীতে প্রায় ৩০ লাখ আবেদন জমা হয়েছে। মেধা তালিকায় প্রথম থেকে ১৪তম নিবন্ধনধারীরা প্রায় ৭ লাখ আবেদনকারী গড়ে ৬টি করে আবেদন করেছেন বলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৯ হাজার ৫৩৫ শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত ১৮ ডিসেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় অনলাইন আবেদন কার্যক্রম। বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন কার্যক্রম চলবে। তালিকা অনুযায়ী প্রথম থেকে ১৪তম নিবন্ধিত চাকরি প্রত্যাশী পৌনে সাত লাখ প্রার্থী প্রায় ৩০ লাখ আবেদন করেছেন। গড়ে প্রতি জনে প্রায় ছয়টি করে আবেদন পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ রাত ১২টার পরে আবেদন কার্যক্রম শেষ হবে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ। আবেদন কার্যক্রম শেষ হলেও পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে।’

ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনেকে আবেদন করতে ব্যর্থ হয়েছেন- প্রার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সত্য নয়। কারণ মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ব্রডব্যান্ড বন্ধ ছিল না। এ সময়ে আমরা আবেদন পেয়েছি। ফলে আবেদনের সময় বাড়ানো হবে না। তাছাড়া দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করে নতুন নিয়োগ শুরু করা হবে।’

ইতোমধ্যে নতুন করে আরও ২০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য হয়ে গেছে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চরমভাবে শিক্ষক শূন্য পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যদি দ্রুত নিয়োগ দেয়া সম্ভব না হয় তবে এ পরিস্থিতি ভয়াভয় পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।’

একটি মহল নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে মন্তব্য করে আশফাক হুসেন বলেন, ‘মামলা করে কেউ কেউ এ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করার পাঁয়তারা করছে। মামলা করলে চাকরি নিশ্চিত পাওয়া যাবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এরাই নানা রকম গুজব ছড়িয়ে আবেদনের সময় বৃদ্ধি করার দাবি তুলছে।’

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘প্রাপ্ত আবেদনগুলো জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রতিটি পদের বিপরীতে একজন করে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করে তাদের নিয়োগে সুপারিশ করা হবে। এরপর নির্বাচিতদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিকে মোবাইল ফোনে ও লিখিতভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে। এছাড়াও এসএমএস করে নির্বাচিত প্রার্থীকে এ তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।’ চলতি বছর ৭০ থেকে ৮০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এমএইচএম/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।