জিপিএ-৫ এর হার কমার কারণ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, চতুর্থ বিষয়ের ফল মূল বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত না করার কারণে এবার জিপিএ-৫ কমে গেছে। এটি নিয়ে উদ্বগ্নি হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে অনুসরণ করা হচ্ছে। সেই আলোকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করা হয়েছে।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার নানামুখী সংস্কার করছে। আধুনিক যুগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ছেলেমেয়েদের গড়ে তুলতে এসব সংস্কার করা হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার সার্বিক গুণগত মান বাড়ছে, শিক্ষার্থীদেরও সার্বিক উন্নতি হয়েছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থারও অনেক পরিবর্তন এসেছে।
উন্নত বিশ্বের ন্যায় আমরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে মূল্যায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় নিজ নিজ শ্ক্ষিাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যায়ন করা হয়েছে। চতুর্থ বিষয় মূল নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হয়নি। এ বছর কৃষি শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্মমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কলা, গার্হস্থ্য শিক্ষা, আরবি বিষয়গুলো ধারাবাহিক পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এসব বিষয়ের নম্বর গড়ে যোগ না হলেও নম্বরপত্রে দেয়া থাকবে। গত বছরের চাইতে জিপিএ-৫ সংখ্যা কমে গেলেও প্রাপ্ত জিপিএ-৫ ঠিকই রয়েছে।
তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় আমরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। মানুষের মানসিকতার অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ কারণে প্রশ্নফাঁসসহ কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যারা প্রাপ্ত ফল পাননি তাদের হতাশ না হতে পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সোমবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন পাশ করেছে। গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। গতবছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এমএইচএম/জেএইচ/এমকেএইচ