অপহরণকারীদের মাইক্রো থেকে বেঁচে এলো রাফি
বরিশালে অপহরণকারীদের মাইক্রোবাস থেকে লাফিয়ে পড়ে নিজের জীবন বাঁচালো জুবায়ের রাফি নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপহরণের পর বিকেলে নগরী থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে রহমতপুর ব্রিজে অপহরণকারীদের চা খাওয়ার সুযোগে লাফিয়ে পড়ে বেঁচে যায় রাফি।
পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে নগরীর বিমানবন্দর থানা পুলিশ। তবে অপহরণকারী কিংবা তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি আটক করতে পারেনি তারা। এর আগে নগরীর বান্দ রোড স্টেডিয়ামের সামনে থেকে অপহৃত হয় রাফি। রাফি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র এবং নগরীর রূপাতলী হাউজিংয়ের বাসিন্দা আলী হোসেন তালুকদারের ছেলে।
অপহরণকারীদের কবল থেকে বেঁচে যাওয়া শিশু রাফির মা আয়শা আক্তার জানান, ১৫ দিন আগে তার ছেলেকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মোটরসাইকেল আরোহী তিন ব্যক্তি অনুসরণ করে। এ খবর জানার পর ছেলেকে ১২ দিন স্কুলে যেতে দেননি তারা। ১২ দিন পর আজ স্কুলে যায় সে। স্কুল থেকে অটোরিকশাযোগে রূপাতলীর বাসায় ফিরছিলো রাফি।
পথে স্টেডিয়ামের সামনে তাদের বহনকারীদের অটোরিকশাটি বিকল হয়ে গেলে রাফি আরেকটি অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় একটি মাইক্রোবাস থেকে ৪/৫ জন মুখোশধারী ব্যক্তি নেমে টেনে হিচড়ে রাফিকে মাইক্রোবাসে তোলে।
রাফি জানান, মাইক্রোবাসে তোলার পর তার মুখের সামনে একটি রুমাল ধরে দুর্বৃত্তরা। এরপর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। বিকেল ৪টার দিকে রহমতপুর ব্রিজে মাইক্রোবাস থেকে নেমে চা খাচ্ছিলো দুর্বৃত্তরা। এ সময় জ্ঞান ফিরে পেলে রাফি মাইক্রোবাস থেকে নেমে দৌড়ে একটি ফার্নিচারের দোকানে ঢুকে পড়ে। সেখানে দোকানির কাছে অপহরণের খবর বলার মুহূর্তে দুর্বৃত্তরা মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায়।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, রাফি এবং তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে পুরো ঘটনা শুনেছেন। তারা লিখিত অভিযোগ দিলে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাইফ আমীন/বিএ