বাকৃবির ৯৬ কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল


প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আলোচিত কর্মচারী নিয়োগের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ২১৭ কর্মচারীকে নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পাওয়া ৯৬ কর্মচারীকে বাতিল করা হয়েছে। তদন্তের সাপেক্ষ তাদের বাদ দেয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, ২৮৭ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ম ভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়োগ প্রদান করে ৩১৩ জনকে। এরপর গত ৩ মার্চ প্রচুর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠায় ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এদিকে, নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগের মুখে তৎকালীন বাকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. রফিকুল হক গত ৭ এপ্রিল পদত্যাগ করেন। এরপর নতুন ভিসি আসতে সময় লাগে প্রায় দেড় মাস।

গত ২৪ মে প্রফেসর ড. মো. আলী আকবরকে নতুন ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। আর এই নতুন ভিসি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ওই নিয়োগে নিয়োগপ্রাপ্তরা উপাচার্যকে বেতনের জন্য চাপ দিতে থাকে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তবে তদন্তের বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম মুখ খুলতে রাজি হননি।

এদিকে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ না হওয়ায় গত সাড়ে পাঁচ মাস যাবত নিয়োগ পাওয়া ওই কর্মচারীরা বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো.সাইফুল ইসলাম জানান, তদন্তে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক কর্মচারীর ব্যাংক ড্রাফট না থাকা, একই ব্যক্তির ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে নিয়োগ হওয়া এবং নানা অনিয়ম পাওয়া যাওয়ায় ৯৬ কর্মচারীকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. আফজাল হোসেন জানান, তদন্তের সাপেক্ষ তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।

আতাউল করিম খোকন/এআরএ/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।