শোক দিবসের আলোচনা সভার একী অবস্থা!
বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী নিয়ে জনগণের মাঝে আগ্রহের কমতি নেই। তাদের জীবন যাপন, কাজকর্ম বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তা-চেতনার সকল দিক নিয়ে আলোচনা হয় যুগে যুগে কালে কালে। তাদের প্রতি মানুষের আগ্রহ রয়েছে অনেক। তেমনই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম-মৃত্যু এবং তার কর্মময় জীবন নিয়ে প্রতিবছর আলোচনা সভা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সোমবার সন্ধায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষির্কী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই অবিসংবাদিত নেতার ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষির্কী উপলক্ষে দাওয়াতপত্রে যাদের নাম ছিল তাদের সকলে উপস্থিত ছিলেন না। তবে কি বলা যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শোক দিবসের আলোচনা সভায় আমন্ত্রিতদের আগ্রহ কম ছিল।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন। কিন্তু বিশেষ অতিথির তালিকায় সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অপর বিশেষ অতিথি বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপির নাম থাকলেও তারা উপস্থিত ছিলেন না।
আলোচনা সভায় অতিথির তালিকায় নাম থাকার পরও যারা উপস্থিত হতে পারেননি তারা হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার সফিক আহম্মেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার রুকন উদ্দিন মাহমুদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এএফএম মেজবাহ উদ্দীন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এমপি, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েকুজ্জামান মোল্লা।
তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম মুনির। তার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক, শ.ম. রেজাউল করিম, সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজন, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সানজিদা খানম ও হুসনে আরা বাবলী, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওসার ও আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।
বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এই আলোচনা সভায় তারা ছাড়াও আর যাদের নাম অতিথির তালিকায় ছিল তারা কী কারণে আলোচনা সভায় উপস্থিত হতে পারেননি তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। অ্যাডভোকেট এসএম মুনির জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছে তাই আলোচনা সভায় অতিথিরা উপস্থিত থাকতে পারেনি। তবে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার সফিক আহম্মেদ ও শেখ ফজলে নূর তাপস কী কারণে উপস্থিত ছিলেন না তা জানা যায়নি।
জানতে চাইলে আইনজীবী এসএম মুনির জাগো নিউজকে বলেন, ব্যারিস্টার সফিক আহম্মেদের মেয়ে দেশের বাইরে থেকে ফিরেছেন, তাই তিনি ওনার মেয়ের জন্য আসেননি। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের চেয়ে ওনার মেয়ে বেশি বড় হয়ে গেছে।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিষয়ে আইনজীবী জাগো নিউজকে জানান, তাপস সাহেব আমাকে বারবার নিশ্চিত করেছেন অনুষ্ঠানে আসবেন কিন্তু তিনিও কী কারণে আসেননি তা জানি না। তবে তিনি সোমবারও শোক দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন না।
এফএইচ/বিএ