প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ : ১৯ লাখ আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে নতুন করে আরও ১২ হাজার ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ দেয়া হবে। গত ৩০ আগস্ট অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এসব পদের বিপরীতে সারা দেশে প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ডিপিই মহাপরিচালক আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গত ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ আবেদন প্রক্রিয়া চলে।

মহাপরিচালক আবু হেনা বলেন, ১২ হাজার সরকারী শিক্ষক নেয়া হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেকের আগ্রহ থাকায় সারা দেশে ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ আবেদন জমা পড়ে। স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হবে। এ সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের প্রবেশপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ শেষ করা হবে। ডিপিই ওয়েবসাইটে dpe.teletalk.com.bd প্রবেশপত্র ও যাবতীয় নির্দেশনা দেয়া হবে।

primary

জানা গেছে, দেশের ৬৩ জেলার সরকারি বিদ্যালয়ে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গত ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিপিই। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকরিবিধি অনুযায়ী আবেদনের ক্ষেত্রে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এতে পুরুষদের জন্য স্নাতক বা সমমানের দ্বিতীয়/বিভাগ বা শ্রেণিতে পাস থাকতে হবে। আর নারীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয়/বিভাগ/সমমানে পাস হতে হবে।

ডিপিই সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে রাজস্বখাতভুক্ত আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে নারী আবেদনকারীদের ৬০ শতাংশ কোটায় এইচএসসি বা সমমান পাস এবং পুরুষের জন্য ৪০ শতাংশ কোটায় স্নাতক বা সমমান পাস রাখা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় আসন প্রতি তিনজনকে (একজন পুরুষ ও দুইজন নারী) নির্বাচন করা হবে।

ডিপিই’র নিয়োগ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৪ সালের স্থগিত নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বর্তমানে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ ফল প্রকাশ হতে পারে।

এমএইচএম/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।