ইস্ট ওয়েস্ট-ব্র্যাক বন্ধ, শিক্ষার্থী উপস্থিতি দেখবে নর্থ সাউথ
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৮
রাজধানীর আফতাব নগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টি দুদিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এই ছুটির নোর্টিশ জারি করা হয়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ও এক দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে শিক্ষার্থী উপস্থিতি দেখবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। যদি শিক্ষার্থীরা আসে তাহলে ক্লাস-পরীক্ষা হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মহিউদ্দিন খান জাগো নিউজকে বলেন, অনিবার্য কারণে আগামী ৭ ও ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে।
তিনি বলেন, বন্ধ ঘোষণার পর সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ই-মেইল ও মোবাইল এসএমএমের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত উপচার্য অধ্যাপক এন. এস. কাইরি।
এদিকে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এমন সংবাদ ছড়ালেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা নাকচ করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে গত কয়েকদিন ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদালয়ের সব পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরীক্ষা ও ক্লাস নেয়ার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় নিহত হন মিম ও করিম নামে দুই শিক্ষার্থী। ওই দুর্ঘটনায় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী আহতও হন । এ ঘটনায় দিয়ার বাবা ওই দিনই ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকেই নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে ঢাকা শহরের সব রুটে কয়েকদিন বাস চলাচল বন্ধ রেখেছিলেন পরিবহন মালিকরা। সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
অপরদিকে শনিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্ররূপী বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
জিগাতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে গত দু’দিন। এসব ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বেশ ক’জন সাংবাদিক।
এমএইচএম/জেডএ/আরআইপি