একযুগে সব থেকে খারাপ ফল সিলেটে
এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ধস নেমেছে। বিগত ১২ বছরের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে সিলেট। এতকিছুর পরও মেধাবী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ।
দেশের ৮টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে সিলেট শিক্ষাবোর্ড এবার সবার পেছনে। সিলেট শিক্ষাবোর্ডে এ বছর পাসের হার মাত্র ৬২ দশমিক ১১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৭৩ জন শিক্ষার্থী।
এর আগের বছর ২০১৭ সালে পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ০৩ শতাংশ। তবে মোট পরীক্ষার্থী ও পাসের হারের ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে সিলেটের মেয়েরা এগিয়ে আছে।
সিলেট শিক্ষাবোর্ড থেকে এবার মোট ৭১ হাজার ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে পাস করেছে ৪৪ হাজার ১২৭ জন। শতভাগ পাস করেছে ১০টি কলেজ।
এছাড়া এ বছর দুটি কলেজে কোনো শিক্ষার্থীর কেউ পাস করতে পারেনি। এ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের উত্তর সুরমা আছমত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এবং মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার নুরুন্নেছা খাতুন চৌধুরী কলেজ।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছাত্র ছিল ৩২ হাজার ৮৮৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৯ হাজার ১৮৬ জন। পাসের হার ৫৮.৯২ শতাংশ। ছাত্রী ছিল ৩৮ হাজার ৭৯০ জন। পাস করেছে ২৪ হাজার ৯৪১ জন। পাসের হার ৬৪.৮১ শতাংশ।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ বলেন, এবার পাসের হার কমলেও মেধাবীদের সংখ্যা বেড়েছে। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭০০ জন। এবার আরও বেড়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ানোই এখন শিক্ষাবোর্ডের টার্গেট।
ফল খারাপ করার কারণ ব্যাখা করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, এবার ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বেশি অকৃতকার্য হয়েছে। এ কারণে সামগ্রিক ফলাফলে এর প্রভাব পড়েছে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০০৬ সালে পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২০০৭ সালে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ২০০৮ সালে পাসের হার ৭১ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২০০৯ সালে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। ২০১০ সালে পাসের হার ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ। ২০১১ সালে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ২০১২ সালে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ২০১৩ সালে পাসের হার ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০১৪ সালে পাসের হার ৭৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ০৩ শতাংশ।
ছামির মাহমুদ/এফএ/আরআইপি