শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জি এম জিলানী শুভ।
এ সময় তিনি বলেন, গত ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা-আক্রমণ করেছে। একই সঙ্গে পুলিশের হয়রানি, গ্রেফতার ও ৫৪ ধারায় তুলে নিয়ে যাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। এই রকম চরম দমনমূলক পরিস্থিতে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তারা ছাত্রলীগের হামলা ও পুলিশের গ্রেফতারের নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসগুলোতে লাটিসোটা, রড, চাপাতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর শারিরীক আক্রমণ-নিপীড়ন মারপিট করে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে। তারা মত প্রকাশের সাংবিধানিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে চলেছে। কিন্তু প্রশাসন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে চলেছে ও হামলাকারীদের পক্ষেই সাফাই গাইছে। যা প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীন দলীয় দাসত্বের পরিচয়কে স্পষ্ট করে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রগতিশীল ছাত্র জোট পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৮ জুলাই সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব বন্ধ ও শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশের দাবিতে দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে স্মারকলিপি ও সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজের উপচার্য/অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ১২ জুলাই মশাল মিছিল, ১৫ জুলাই কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরারব স্মারকলিপি প্রদান।
সংবাদ সম্মেলন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিএম জিলানী শুভ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবল কবীর, ছাত্র ঐক্য ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আল ইমরান প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমজেড/এমএস