‘প্রতিশ্রুতির পরও শিক্ষক আন্দোলন রহস্যজনক’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ১৮ জুন ২০১৮

শর্ত সাপেক্ষে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করতে নীতিমালা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতির পরও আন্দোলন রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিনি জাগো নিউজকে এ কথা বলেন। সচিব বলেন, একসঙ্গে সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি সম্ভব নয় বলেই নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। শর্ত সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হবে।

প্রথম পর্যায়ে এক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও করা হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও করতে কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রথমে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এরপর মাঠ পর্যায়ে তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কেউ জোর করলেই তো হবে না। সব পদ্ধতি অনুসরণ করে এমপিওভুক্তির আওতায় আসতে হবে।

প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজেটে সব বিষয় উল্লেখ থাকে না। অনেক বিষয়ে যেমন দুর্যোগ, বন্যাসহ জরুরি অবস্থার বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ থাকে যা বাজেটে উল্লেখ করা হয় না। তেমনি নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিকরণে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। যা প্রস্তাবিত বাজেটে উল্লেখ করা হয়নি। অথচ বাজেটে বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করছেন। যা সত্যিই দুঃখজনক।

শিক্ষকদের রাস্তায় ঈদ করায় দুঃখ প্রকাশ করে সবাইকে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সচিব বলেন, এমপিওভুক্তির বিষয়ে সরকার প্রধান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী, সচিবও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তারা কারও ওপর আস্থা রাখছে না। উল্টো গালাগালি করছে। গালাগালি আর অসভ্য আচারণ করে কিছু পাওয়া যায় না। আন্দোলনকারীদের শৃঙ্খলার মধ্যে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

নতুন এমপিও নীতিমালা মানতে রাজি নয় আন্দোলনকারীরা। প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ১৫-২০ বছর হওয়ায় তারা এর আওতায় আসতে রাজি নয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাব হোসাইন বলেন, তারা এমপিওভুক্তি না চাওয়ার অঙ্গিকার করে অনুমতি নিয়েছেন। কিন্তু সরকারের দায়ভার থেকে এমপিওভুক্তি করা হয়ে থাকে। আইন দেখাতে গেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কখনই এমপিও চাইতে পারে না। মানবিকভাবে তা দেয়া হয়।

এমএইচএম/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।