‘নর্থ সাউথের সুনাম নষ্টে কুচক্রীমহল লিপ্ত’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও সাফল্যকে নষ্ট করার অপ্রয়াসে একটি কুচক্রীমহল লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. শাজাহান।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়-ছয়’ প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিবাদে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ১৩ পৃষ্টার লিখিত বক্তব্যে মো. শাজাহান বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জন ট্রাস্টি সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও সম্পূর্ণ মুনাফাহীনভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। তাদের প্রচেষ্টায় নর্থ সাউথ আজ দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। দেশের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। অথচ কতিপয় কুচক্রীমহল আমাদের সাফল্যকে ম্লান করার অপ্রয়াসে লিপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
টিউশন ফি বেশি আদায় করা হয় না উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, নর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৫ বছরে মাত্র ৫০ শতাংশ ফি বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা উপকরণের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এ অর্থ বাড়ানো হয়েছে। চার বছরের স্নাতক কোর্সে মাত্র ৮ লাখ টাকা নেয়া হয়। অথচ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৮৪০ জন মানসম্মত দেশি-বিদেশি শিক্ষক রয়েছেন। সবাই পিএইচডিধারী শিক্ষক। তাদের অধিক বেতন দিতে হচ্ছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য করা হলেও বর্তমানে ২৫ হাজার শিক্ষার্থী। এ কারণে আশুলিয়া জমি ক্রয় করা হয়েছে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই জমি ক্রয় করা হয়েছে। সেখানে আরও বড় ও মানসম্মত ক্যাম্পাস ও আবাসন তৈরি করা হবে। স্বচ্ছ ও স্বল্প মূল্যে সেখানে ২৫০ বিঘা জমি ক্রয় করা হয়েছে। অথচ জমি ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সব আইন মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে। তাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেয়া বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের দেয়া বক্তব্য অসতর্কতামূলক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণে ভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরিরও দাবি জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাস্ট্রি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা সবাই স্বচ্ছল ও শিল্পপতি ব্যক্তি। তাদের পরিবার নিয়ে বিদেশ ঘুরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ প্রয়োজন হয় না। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষরে বোর্ড সদস্যরা বিদেশ সফল করে থাকেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ব্যয় করে তাদের বিদেশে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ানোসহ সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি।
এমএইচএম/জেএইচ/এমএস