চার মাসের কোর্স ‘জিইডি’ করে স্নাতকে ভর্তি আর নয়
এখন থেকে চার মাস মেয়াদি জেনারেল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট (জিইডি) কোর্স শেষ করে স্নাতকে ভর্তি হওয়া যাবে না। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উপ-পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) জেসমিন পারভীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাইয়ের পর জিইডি ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে কোনো কোর্সে ভর্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত সব বেসরকরি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুসরণ করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, চার মাস মেয়াদি আন্তর্জাতিক মানের এই জিইডি কোর্সকে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার সমমান হিসেবে গণ্য করা হত, একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে এই কোর্স সম্পন্ন করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারত।
বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে পরীক্ষা দিয়ে জিইডি সার্টিফিকেট পাওয়া যেত। এ ডিগ্রি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়ায় ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এইচএসসি সমমান পাস হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও এইচএসসির সমমান হিসেবে এই কোর্স স্বীকৃত ছিল। দেশের শতাধিক শিক্ষার্থী জিইডি পাস করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন কোর্সে অধ্যায়ন করছেন।
এ বিষয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, জিইডি পাসকে এইচএসসির সমমান ধরা হলেও তা নিয়ে বির্তক রয়েছে। এইচএসসি কোর্স দুই বছর মেয়াদি আর জিইডি মাত্র চার মাসের ডিপ্লোমা কোর্স। এ কারণে এটিকে সমমান বলা যাবে না।
তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার সিলেবার আর আমাদের সিলেবাসে পার্থক্য রয়েছে। তাই অন্যদেশে এই কোর্স সমমান হলেও আমাদের দেশে তা হতে পারে না। এ কারণে এই কোর্সের গ্রহণযোগ্যতা বাতিল করা হয়েছে। তাই এখন থেকে জিইডি কোর্সধারীরা বাংলাদেশের বেসরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের কোনো কোর্সে ভর্তি হতে পারবে না।
এমএইচএম/জেডএ/পিআর