৩০ মিনিট আগে প্রবেশে ব্যর্থতার কারণ যানজট
এবার এসএসসির মতো এইচএসসিতেও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণের নির্দেশনা ছিল। কিন্তু প্রথম দিনই অনেক শিক্ষার্থী দেরি করেন। রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ১০ জন শিক্ষার্থীকে দেখা যায় দেরিতে প্রবেশ করতে। কারণ হিসেবে তাদের বেশির ভাগই যানজটকে দায়ী করেন।
এই শিক্ষার্থীদের নাম খাতায় এন্ট্রি করে কারণ উল্লেখ করে তারপর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে প্রবেশের কথা থাকলেও অনেক শিক্ষার্থীকে ৯টা ৪০ মিনিটের পরেও প্রবেশ করতে দেখা যায়।
যেসকল শিক্ষার্থী দেরি করেন তাদের মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস রাজধানীল ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজের ছাত্রী তিনি দেরির কারণ হিসেবে যানজট ও রিকশা থেকে পড়ে যাওয়াকে উল্লেখ করেছেন, একই কলেজের মেহেদী হাসান যানজটকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, মহানগর মহিলা কলেজের মারজান জাহানও দেরির জন্য যানজটকেই দায়ী করেন।
দায়িত্বরত শিক্ষক ইসমত আরা দেরিতে আসা শিক্ষার্থীদের নাম ও দেরিতে আসার কারণ লিখে তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষা শুরুর দিকেই এ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় পরীক্ষা। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এ বছর ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এবার সারাদেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। যা গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ পরীক্ষার্থী বেড়েছে। বৃদ্ধি হার ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এবার ছেলেদের তুলনায় মেয়ের সংখ্যা কম। ছেলে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ এবং মেয়ে ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ জন।
আজ (সোমবার) আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে বাংলা ১ম পত্র (আবশ্যিক), সহজ বাংলা ১ম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি ১ম পত্র, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে কোরআন মাজিদ ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে বাংলা ১ম পত্র (আবশ্যিক) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সূচি অনুযায়ী এবার লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে এবং ১৪ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৩ মে। এবারও শুরুতে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং পরে রচনামূলক অংশের পরীক্ষা হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার সময় আড়াই ঘণ্টা।
পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করে সব বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে একাধিক প্রশ্নের সেট পৌঁছে দেয়া হয়।
এবার সাধারণ আটটি বোর্ডে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন। তার মধ্যে ছেলে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৬১২ এবং মেয়ে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৫ জন। অন্যদিকে মাদরাসা বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১২৭ জন। যার মধ্যে মেয়ে ৪৪ হাজার ১৩৫, ছেলে ৫৫ হাজার ৯৯২ জন। এছাড়াও কারিগরি শিক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪।
এমএইচএম/এসএইচএস/জেআইএম