কওমি শিক্ষা স্থায়ীকরণে চার দফা দাবি
কওমি শিক্ষা-সংক্রান্ত আইন সংসদে পাস, নতুন বিধি প্রণয়নে ছয় বোর্ডের সমন্বিত মতামত গ্রহণসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেছেন কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতারা। এসব দাবি মেনে না নেয়া হলে নতুনভাবে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদ নেতা মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এসব দাবি তুলে ধরেন।
ইয়াহইয়া মুহমুদ বলেন, সংখ্যালঘুর মতো আচরণ সহ্য করবেন না। বিগ ব্রাদারসুলভ আচরণ আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না। ছয় বোর্ডকে সমান মর্যাদাপূর্ণ করে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন সাহেব পরামর্শ দিয়েছিলেন পাঁচ বোর্ডের পক্ষ থেকে একজনকে কো-চেয়ারম্যান নেয়া হবে। পরিতাপের বিষয় হলো- প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবের কথাকেও তোয়াক্কা না করে কওমি শিক্ষায় গঠিত ফোরামের সদস্যরা নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অভিযোগ তুলে মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, সরকারি স্বীকৃতির নামে প্রতিষ্ঠিত হাইয়াতুল উলইয়ার কলকাঠি স্বীকৃতিবিরোধী পক্ষই নাড়াচ্ছে। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মিটিংকেই চালিয়ে দিচ্ছে হাইয়াতের মিটিং হিসেবে।
তিনি বলেন, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার দায়িত্বশীলরা অন্যান্য পাঁচ বোর্ডের সঙ্গে বিমাতাসুলভ, সংখ্যালঘুর মতো আচরণ করছে। তাদের আচরণেই প্রকাশ পায় তারা মূলত স্বীকৃতির সুফল লাখো লাখো শিক্ষার্থীদের ভোগ করতে দিতে চান না।
সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ চারটি দাবি তুলে ধরে। তার মধ্যে কওমি মাদরাসার যে ছয় বোর্ডকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে প্রত্যেক বোর্ডকে সমান মর্যাদা প্রদান, হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান পদে যোগ্য হিসেবে পদায়নের শর্ত আরোপ, বেফাক ছাড়া অন্যান্য বোর্ড থেকে দুজন কো-চেয়ারম্যান নিয়োগ, কোরাম পূরণে অন্যান্য বোর্ডের সদস্যদের আবশ্যকীয় হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
এমএইচএম/বিএ/জেআইএম