রাজধানীতে বিষাক্ত পিরানহা ও বাগদা চিংড়ি জব্দ
রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত পিরানহা মাছ ও জেলি মিশ্রিত বাগদা চিংড়ি জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এঘটনায় র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫ পাইকারি ব্যবসায়ীকে জেল ও জরিমানা প্রদান করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন।
রোববার ভোর রাত থেকে সকাল পৌনে ৮টা পর্যন্ত এ অভিযান চালায় র্যাব-২ ব্যাটালিয়ন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-২ এর কর্মকর্তা এএসপি ফেরদৌসী জানান, অভিযানে ২০০ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা এবং ৫০০ কেজি বিষাক্ত জেলি মিশ্রিত বাগদা চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন জানান, নিষিদ্ধ পিরানহা এবং বিষাক্ত জেলি মিশ্রিত চিংড়ি বিক্রির উদ্দেশে তা সংরক্ষণের অপরাধে পাঁচ পাইকারি ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, পিরানহা সংরক্ষণের দায়ে মোহাম্মদ মাহবুবকে (৩৫) এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া পাইকারি চিংড়ি ব্যবসায়ী বশির আহমেদকে (৪৪) ১ লাখ টাকা, দেবাশীষ বিশ্বাসকে (২২) দশ হাজার টাকা এবং পাঁচ হাজার টাকা করে সাইদুল ইসলাম (২৭) ও শফিকুল ইসলামকে (২২) অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার ড. দিদারুল আলম বলেন, পাইকারি এসব মাছ ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় চিংড়ি মাছের মাথা ও লম্বা পায়ের মধ্যে ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে বিষাক্ত জেলি ও পানি ঢুকিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখে।
একইভাবে চিংড়ির মাথায় ও পায়ে জেলি মিশ্রিত পানি ঢুকিয়ে মাছের ওজন বৃদ্ধির কাজ করে আসছিল ওই পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বিষাক্ত মাছ পিরানহা ক্রয়-বিক্রয়ে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
জেইউ/এআরএস/এমএস