তত্ত্বীয় নয় বাতিল হতে পারে এমসিকিউ পরীক্ষা
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁস হলেও পুরো পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর।
কোন একটি বিষয়ের এমসিকিউ পরীক্ষা বাতিলে সুপারিশ করা হতে পারে। তবে সেটি কোন বিষয় তা নিশ্চিত করে কিছু বলেনি তিনি। রোববার রাজধানীর পরিবহন পুলে মূল্যায়ন কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক।
আলমগীর হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত একটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পুরোপুরি ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফাঁস হওয়া প্রশ্নগুলোর মধ্যে শুধু একাধিক বিষয়ের নৈর্ব্যত্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্নে মিল পাওয়া গেছে। ফাঁসের কারণে যে পরীক্ষায় বেশি প্রভাব পড়েছে তেমন একটি বা দুটি পরীক্ষা বাতিল করার সুপারিশ করা হতে পারে। তাই পরীক্ষা বাতিল হওয়ার বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটির সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি বিষয়ের এমসিকিউ ও তত্ত্বীয় বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের এমন কথা বললেও রোববার সভার পরে তা অস্বীকার করেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছি। তার ওপর কাজ করে যাচ্ছি। এসব বিষয়ের ওপর যাচাই-বাছাই করে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, যেসব মোবাইল নম্বর ও প্রশ্ন ফাঁসের লিংক পাওয়া গেছে তা যাচাই-বাছাই কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও সব কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তাই তদন্ত প্রতিবেদন আগামীকাল (সোমবার) দেয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য আরও দুদিন সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
কোন বিষয়ে পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি গোপন বিষয়। তাই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেয়া হবে। সেখানে সেসব বিষয় উল্লেখ করা থাকবে।
উল্লেখ্য, চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়া প্রশ্ন মূল্যায়নে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটি তৈরি করা হয়। এ যাবৎ ফাঁস হওয়া প্রশ্নগুলো যাচাই-বাছাইয়ে গত দুই সপ্তাহে কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুটি বৈঠক হয়।
এমএইচএম/জেএইচ/আরআইপি