গবেষণা কাজে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, উচ্চতর গবেষণায় সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো অব্যাহত থাকবে। ফলপ্রসূ গবেষণার ফলে কৃষিসহ নানাক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। গবেষণা ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমেই বিদ্যমান সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

সোমবার ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) অডিটোরিয়ামে শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচিবিষয়ক কর্মশালা ও চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির উদ্ভাবন, প্রয়োগ এবং তা ফলপ্রসূভাবে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে এ কর্মসূচি চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দক্ষতাসম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানী গড়ে তোলাই লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও গবেষণায় বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।

নাহিদ বলেন, শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৩৬৮টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫২টি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যার অনুকূলে ২৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, গবেষণায় যথাযথ বিষয় বাছাই করতে হবে। যা সমাজে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে বা নতুন উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বাছাই কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মেসবাউদ্দিন আহম্মেদ এবং ব্যানবেইস-এর পরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।

অনুষ্ঠানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ৫৮টি প্রকল্পের ৩য় কিস্তি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ৬৯টি প্রকল্পের ২য় কিস্তি এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৫০টি প্রকল্পের ১ম কিস্তির টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। এ অর্থবছরে মোট ৮৯টি গবেষণা প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

এমএইচএম/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।