কোচিং বন্ধ রাখার ঘোষণা প্রত্যাহার দাবি
কোচিং সেন্টার বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছে কোচিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ। কোচিং সেন্টার বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহারের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারের স্বীকৃতি ও বৈধ নীতিমালা প্রদান এবং ভ্যাট ১৫ ভাগ থেকে কমিয়ে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ৪ দশমিক ৫ ভাগ করার দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গেল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ইমাদুল হক (ই.হক)।
সেখানে বলা হয় , আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে গত ২৬ জানুয়ারি থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এবং প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে মন্ত্রণালয়ের ‘জাতীয় মনিটরিং কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার কোচিং সেন্টার মালিকরা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে ইমাদুল হক বলেন, ‘সঠিক জরিপ না পেলেও সারাদেশে বর্তমানে লক্ষাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে। প্রতিটিতে দশ পনের জন করে শিক্ষক থাকলেও প্রায় দশ পনের লক্ষের মতো শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ সমস্ত কোচিং সেন্টার বেকার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি ১৫ ভাগ ভ্যাট দিয়ে রাজস্ব খাতে অবদান রাখছে। কোচিং সেন্টার বন্ধ করলে সরকার যেমন রাজস্ব হারাবে তেমনি বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা সরকারি বেতন পাওয়া সত্ত্বেও গোপনে বাসা ভাড়া করে শিক্ষার্থীদের জোর পূর্বক কোচিং করিয়ে অর্থ উপার্জন করছে এবং রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এরাই হয়তো বোর্ড প্রশ্ন প্রণেতা এবং তাদেরই প্রশ্ন ফাঁস করার প্রয়োজন হতে পারে। সেদিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত।’
সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ে গতকাল বুধবার সকল জেলা ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ সরকার, নুরুল আমিন, আমির হোসেন, আবু রায়হান, মাহবুব আরেফিন, আবুল হোসেন প্রমুখ।
এলএ/পিআর