বই উৎসবের আলাদা প্রস্তুতি দুই মন্ত্রণালয়ে
নতুন বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘বই উৎসব ২০১৮’। এ নিয়ে আলাদাভাবে প্রস্তুতি চলছে দুই মন্ত্রণালয়ে।
জানা গেছে, রাজধানীর দুটি স্থানে পৃথকভাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে কেন্দ্রীয়ভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠান করবে রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠান করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে ভেন্যুর ডিজাইন চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এদিকে বই উৎসবকে কেন্দ্র করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও বই বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারাও স্কুলে স্কুলে বই পৌঁছে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা গেছে, ৩০ ডিসেম্বর জেএসসি ও জেডিসি এবং প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে বই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। পরে ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। এ জন্য পৃথক প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ করেছে দুই মন্ত্রণালয়। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার একটু আলাদাভাবে বই উৎসব করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
কারণ হিসেবে জানা গেছে, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিগত বছরগুলোর চাইতে সর্বোচ্চসংখ্যক বই ছাপানো হচ্ছে। এবার ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ১৬২টি বই ছাপার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৯৮ শতাংশ বই জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবি কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বই উৎসবের তাৎপর্য বাড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও কয়েকজন তারকাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
অন্যদিকে, আজিমপুর খেলার মাঠে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত বই উৎসবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি ও শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উৎসবেকে আনন্দমুখর করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা লাল-নীল প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনসহ মাথায় ফিতা ও টুপি পরে অনুষ্ঠানে যোগ দিবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুফাদ আহমেদ চৌধুরী।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই তুলে দেয়াটা ছিল চ্যালেঞ্জ। এ জন্য শুরু থেকেই এনসিটিবি, বইয়ের মনিটরিংয়ে থাকা দুটি পরিদর্শন টিম, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর ছিল। শুরুতে নানা জটিলতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের আগেই ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ৯৭ শতাংশ বই ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বই পৌঁছে যাবে বলেও জানান তিনি।
এমএইচএম/এএইচ/জেআইএম