উদ্বোধনের ৮ মাস পরও চালু হয়নি শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন


প্রকাশিত: ০৪:১০ এএম, ১১ জুলাই ২০১৫

প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে বিভিন্ন সময় শায়েস্তাগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

অবিলম্বে নবনির্মিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব। বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শায়েস্তাগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। এর প্রেক্ষিতে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে ২০১২ সালে এ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ওই বছরের ২০ জুলাই নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ ২০১৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জ সফরে এলে তড়িঘড়ি করে কোনোরকমে ভবনটি রং করা হয়। তখন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের প্রায় ৮ মাস অতিবাহিত হতে চললেও এখনো এর কার্যক্রম শুরু হয়নি। এ অবস্থায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভবন পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মোজ্জামেল হোসেন খান। এসময় জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, ভবনের কাজ শেষ হলেই কার্যক্রম শুরু হবে। কার্যক্রম শুরু করার জন্য বরাদ্দ এসেছে। কিন্তু গণপূর্ত বিভাগ এখনো ভবনটি তাদের কাছে হস্তান্তর করেনি।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/ এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।