‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলতে পারবে না’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশিদিন চলতে পারবে না। যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, যারা নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ খোলা নেই। যে কোনো মূল্যে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উন্নত অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।
সোমবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে নাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও মান উন্নয়ন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, তারা যেন ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা ত্যাগ করে সেবার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আগামীতেও সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে।
সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত হলে এর দায়ভার তার শিক্ষক-অভিভাক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এ দায়ভার কেউ এড়াতে পারবেন না। তবে শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই ব্যবসার পণ্য করা উচিত নয়। তাদের সুশিক্ষা দিয়ে উদার মনের মানুষ তৈরি করতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো মানের পড়ালেখা হয় না। দ্রুত তাদের সমস্যা নিরসন করে মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মোট চার হাজার ৬৩৮ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তরকে সনদ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে চার ক্যাটাগরিতে সর্বমোট নয়টি সম্মানসূচক স্বর্ণপদক দেয়া হয়। পদকগুলো হচ্ছে, চ্যান্সেলর পদক তিনটি, বিশেষ অতিথি পদক দুটি, ‘সমাবর্তন বক্তা পদক’ দুটি ও বোর্ড অব ট্রাস্টি পদক দুটি। দুই ক্যাটাগরির সিলভার পদকের মধ্যে রয়েছে দুটি চ্যান্সেলর পদক এবং ছয়টি ডিনার পদক প্রদান করা হয়।
সমাবর্তনের শেষপর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ব্যতিক্রমধর্মী ‘ফ্যাশন শো’ অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সহধর্মিণী বেগম রাশেদা খানম।
এমএইচএম/জেডএ/আরআইপি